যশোর: নতুন আঙ্গিকে শিগগিরই বাজারে আসছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পাঠকপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক রানার। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পত্রিকাটির ডিক্লিয়ারেশন (ঘোষণাপত্র) অনুমোদন পেয়েছে।
এদিকে পত্রিকাটির প্রকাশনার অনুমোদন পাওয়ায় দুপুরে দৈনিক রানার পত্রিকার সদস্যরা শহরের বেজপাড়া তালতলা কবরস্থানে যান। সেখানে পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম গোলাম মাজেদ ও তার সহধর্মিণী রাবেয়া খাতুন, তাদের দুই ছেলে পত্রিকার সাবেক সম্পাদক শহীদ সাংবাদিক আর এম সাইফুল আলম মুকুল ও আর এম মঞ্জুরুল আলম টুটুলের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক রানার পত্রিকার প্রকাশক উত্তম ঘোষ, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আর এম কবিরুল আলম দিপু, দৈনিক সমাজের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক সোহরাব হোসেন, প্রয়াত সম্পাদক গোলাম মাজেদের সেজ জামাতা ফয়সল ইসলাম, সাংবাদিক প্রণব দাস, ইন্দ্রজিৎ রায়, সালমান হাসান রাজিব, নাছিম উদ্দিন, স্বাধীন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আর এম কবিরুল আলম দিপু জানান, দৈনিক রানার শিগগিরই নিয়মিত প্রকাশনায় ফিরছে। দ্রুতই পাঠকের হাতে পত্রিকা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রিন্ট পত্রিকার পাশাপাশি অনলাইন-মাল্টিমিডিয়া গণমাধ্যমেও প্রতি মুহূর্তের সংবাদ প্রচারের তৎপরতাও চলছে পুরোদমে।
১৯৮০ সালের ২৬ মার্চ যশোরে দৈনিক রানারের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রকাশনা শুরুর পর থেকে জনবোধ্য ভাষায় সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের মধ্যদিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহুল প্রচারিত শীর্ষ দৈনিকে পরিণত হয় পত্রিকাটি। এমনকি দেশের সীমানা পেরিয়ে বিদেশেও আলোচিত হয়ে ওঠে দৈনিকটি। অসঙ্গতির বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনির কারণে আক্রোশের শিকার হয়ে কারাবরণ ও চরম নির্যাতনের মুখে মৃত্যৃবরণ করেন রানারের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক গোলাম মাজেদ। পরবর্তীতে পত্রিকার হাল ধরেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র আর এম সাইফুল আলম মুুকুল। তিনিও আপোষহীন লেখনির কারণে ১৯৯৮ সালে সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন। এরপর পত্রিকা প্রকাশের দায়িত্ব নেন প্রতিষ্ঠাতার আরেক ছেলে আর এম মঞ্জুরুল আলম টুটুল। তবে ২০১৫ সালে তার মৃত্যুর পর থমকে যায় পত্রিকাটির পথচলা। ৮ বছর পর পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতার আরেক পুত্র আর এম কবিরুল আলম দিপুর সম্পাদনায় ফের নতুন আঙ্গিকে শিগগিরই বাজারে আসছে পাঠকের আস্থার পত্রিকা দৈনিক রানার। পুরোদমে চলছে তার প্রস্তুতি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
ইউজি/এমএমজেড