ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শত্রুতা করে ৪ হাজার শসা গাছ উপড়ে দিল দুর্বৃত্তরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
শত্রুতা করে ৪ হাজার শসা গাছ উপড়ে দিল দুর্বৃত্তরা

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় দুই বিঘা জমির ফল ভর্তি প্রায় ৪ হাজার শসা গাছ উপড়ে দিয়েছেন দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের নামে আদিতমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সুধাংশু বর্মণ (৪০)।

সেই সঙ্গে একই বিষয়ে অপর কৃষক সুখ চাঁন (৩২) বাদী হয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর অপর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এর আগে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে উপজেলার বড় কমলাবাড়ি জোরা মন্দির এলাকায় ওই দুই কৃষকের জমিতে থাকা প্রায় ৪ হাজার শসা গাছ উপড়ে ফেলা হয়।

জানা গেছে, জমি বর্গা ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ৪০ শতাংশ জমিতে শসার চাষ করেছিলেন কৃষক সুধাংশু বর্মণ। সেসব গাছে ফল ধরাও শুরু হয়। আর মাত্র ১০-১২ দিনের মধ্যে শসা বাজারে তোলা যেত। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে তিনি ক্ষেতে গিয়ে দেখেন কেউ সব গাছ উপড়ে ফেলে দিয়েছে।

একই অবস্থা তার প্রতিবেশী সুখ চান চন্দ্রেরও। তারও বর্গা নেওয়া ২১ শতাংশ জমিতে চাষ করা সব শসা গাছ উপড়ে ফেলা হয়। তার ক্ষেতে শসা ধরতে শুরু করেছিল। আগামী সপ্তাহে তার শসা বাজারে পাঠানোর কথা ছিল।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সুধাংশু বর্মন জানান, নিজের কোনো জমি নেই। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে শসা চাষ করি। রাতের আঁধারে ক্ষেতের সবগুলো গাছ উপড়ে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত বছর এ জমি থেকে দেড় লাখ টাকার শসা বিক্রি করেছিলাম। এ বছর দুই লাখ টাকার শসা বিক্রির স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তার সেই স্বপ্ন রাতের আঁধারে ভেঙে দিয়েছে।

অপর কৃষক সুখ চাঁন জানান, বর্গা নেওয়া ২১ শতাংশ জমিতে গরু বিক্রির ২৫ হাজার টাকা খরচ করে শসা চাষ করেছিলাম। আবাদ উঠলে দেড় লাখ টাকার বিক্রি হতো। সেই টাকা দিয়ে গরুর খামার গড়ে তোলার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা সেই সব স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।