ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘পরিবার নিয়ে শঙ্কিত, আমাদের রক্ষা করুন’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৩
‘পরিবার নিয়ে শঙ্কিত, আমাদের রক্ষা করুন’

ঠাকুরগাঁও: আমার মেয়েদের ধর্ষণ করা হবে, বাড়িতে হিরোইন দিয়ে আমাকে জেল খাটাবে। আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেবে না।

আমার গরু-ছাগল বিক্রি করে আমার বিরুদ্ধেই মামলা চালাবে। আমার পরিবারকে নিয়ে আমি ভয় ও শঙ্কার মধ্যে আছি। সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, আমার পরিবারকে রক্ষা করুন।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বলঞ্চা গ্রামে ইউপি সদস্য আইনুল হক কর্তৃক পৈতৃক সম্পত্তি দখল করার চেষ্টায় মারধর ও হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পরিবার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এভাবেই নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে আকুতি জানান ভুক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুস।

বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে জেলা শহরের ঠাকুরগাঁও মিডিয়া হাউজে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ভুক্তভোগী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তিন বছর আগে আমার চাচাতো ভাই আসিরুলের সঙ্গে জমি অদল বদল করে রেজিস্ট্রি করা হয়। তার বসতভিটার চার শতক জমি আমাকে রেজিস্ট্রি করে দেয়। আর আমি আমার রাস্তার পাশের সাত শতক জমি তাকে রেজিস্ট্রি করে দেই।  

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার রেজিস্ট্রি করে দেওয়া বসতভিটা থেকে তাকে চলে যেতে বললে, সে চড়াও হয়ে ওঠে। তারপর স্থানীয় মেম্বার আইনুল হকসহ তার সাঙ্গোপাঙ্গ এসে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার পরিবারের লোকজন তাদের বাধা দিতে গেলে আমার মায়ের মাথা ফাটিয়ে ফেলে, আমার স্ত্রী ও মেয়ের শ্লীলতাহানি করে। পরে স্থানীয় একজন ৯৯৯ নম্বরে কল দেওয়ার পর পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।  

আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তারপরে আমি মামলা করি। ওই মামলায় মেম্বার আইনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিনে বের হওয়ার পর থেকে তিনি আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। তিনি আমার মেয়েদের ধর্ষণ করবেন, আমার বাড়িতে হিরোইন দিয়ে আমাকে জেল খাটাবেন। আমাকে বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না। আমার গরু-ছাগল বিক্রি করে আমার বিরুদ্ধেই তারা মামলা চালাবে- এসব বলে আমাকে হুমকি দিয়ে আসছেন।  

এই ভুক্তভোগী বলেন, এখন আমার পরিবারকে নিয়ে আমি ভয় ও শঙ্কার মধ্যে আছি। তাই সরকারের কাছে আমার অনুরোধ, আমার পরিবারকে রক্ষা করুন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আইনুল হকের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল হক মন্ডল বলেন, এর আগের ঘটনার মামলায় ইউপি সদস্যকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এরপরেও অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।