সিলেট: জরিমানা ও মুচলেকায় মুক্তি পেলেন সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আটক দুই পিআইসির সভাপতি।
শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা নিজ কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা ও মুচলেকার রায় দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সুপ্রভাত চাকমা বলেন, আগামী ৬ মার্চের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করবেন মর্মে মুচলেকা দেন আটকরা। দুইজনকে এক হাজার টাকা করে দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। বাঁধের কাজ ওঠানোর স্বার্থে দুইজনকে জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তারা হলেন, উপজেলায় মহালিয়া হাওরের ১৬ নম্বর পিআইসি সভাপতি ও দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফজলুল হক। অপরজন ১৯ নম্বর পিআইসি সভাপতি মোসাহিদ মিয়া।
শুক্রবার (০৩ মার্চ) বাঁধ নির্মাণে গাফিলতি ও কাজ বন্ধ রাখায় দুপুরে তাদের আটকের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) আসাদুজ্জামান রনি। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) আসাদুজ্জামান রনি। দুপুরে মহালিয়া হাওরে বাঁধ পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেন মহালিয়া হাওরের ১৬ নম্বর পিআইসি ফজলুল হক ও ১৯ নম্বর পিআইসির সভাপতি মোশাহিদ মিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করেননি। তাদের বিরুদ্ধে বাঁধের কাজে গাফিলতি, অনিয়ম ও কাজ বন্ধ রাখার অভিযোগ ওঠে। এ কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের দুজনকে আটক করার নির্দেশ দেন তিনি। পরে তাহিরপুর থানা পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
তাহিরপুর উপজেলা হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মনিটরিং কমিটির সদস্য সচিব প্রকৌশলী শওকতুজ্জামান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ দুই পিআইসি তাদের বাঁধের কাজ শেষ না করে বন্ধ করে রেখেছেন।
উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) আসাদুজ্জামান রনি জানান, সরকারি নীতিমালার বাহিরে গিয়ে যারাই বাঁধে নির্মাণে গাফিলতি করবেন, তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজ পরিদর্শনে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
এনইউ/এসআইএ