ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। শনিবার (৪ মার্চ) সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান নির্বাহী চেয়ারম্যান। সাক্ষাতকালে তারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যুক্তরাজ্যের অবদান, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিকাশ, বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে শুরু হয় বাংলাদেশের কালো অধ্যায়। কালো আইন সংযোজনের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে রচিত সংবিধানের কাটা-ছেঁড়া। এরপরও সহযাত্রীর মনোভাব নিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের বিকাশে কাজ করে যাচ্ছেন।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, ১৯৭৩ সালে মহান জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করে। এ বছর বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন করতে যাচ্ছে। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ গণতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। এ সময় টনি ব্লেয়ার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কমনওয়েলথ স্কলারশিপের অধীনে ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের স্মৃতিচারণ করেন স্পিকার।
বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে টনি ব্লেয়ার বলেন, পপ সঙ্গীতের জনপ্রিয় ইংল্যান্ডের শিল্পী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ১৯৭১ সালের ১ আগস্ট ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ আয়োজন করে, যা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশ্ব জনমত গঠনে ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নসহ উন্নয়নশীল দেশে বাংলাদেশের উত্তরণ অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
এ সময় বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্তরাজ্যের অধিকতর সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এসকে/আরবি