ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মোটরসাইকেল উপহার পেলেন নড়াইলের সেই অধ্যক্ষ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
মোটরসাইকেল উপহার পেলেন নড়াইলের সেই অধ্যক্ষ 

নড়াইল: নড়াইলে জনতার হাতে লাঞ্ছিত হওয়া সেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে মোটরসাইকেল উপহার দিয়েছেন প্রখ্যাত নাট্যকার রামেন্দু মজুমদার।

শনিবার (৪ মার্চ) সকালে রামেন্দু মজুমদারের পক্ষে তার জামাতা সৈয়দ আপন আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে অধ্যক্ষকে মোটরসাইকেলটি হস্তান্তর করেন।

নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ বাজারের আশ্রম রোডে টিভিএস শো-রুমে মোটরসাইকেল হস্তান্তর করা হয়।  

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম, নড়াইল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন খান নিলু, পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরাসহ আরও অনেকে।

অতিথিরা বলেন, ঘটনার দিন কোনো অপরাধ করেননি মিজার্পুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস। তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। আজ এ অসামান্য উপহার সারা দেশ ও বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিল অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে সবাই ভালোবাসেন।

অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বলেন, মানুষের জীবনে ভালো-খারাপ সময় আসে। আমি খারাপ সময়টা ভুলে মানুষের ভালোবাসা নিয়ে চলতে চাই।

প্রসঙ্গত, গতবছর ১৭ জুন নড়াইলে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রাহুল দেব রায় নিজের ফেসবুক আইডিতে ভারতের নূপুর শর্মার ছবি ব্যবহার করে একটা বিতর্কিত পোষ্ট দেন। পরের দিন ১৮ জুন সকালে রাহুল কলেজে আসলে তার বন্ধুরা পোস্টটি মুছে ফেলতে বললেও পোস্ট মুছেননি রাহুল।

পরে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে জানান। এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কলেজের সব শিক্ষকদের পরামর্শে রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন।  

এরই মধ্যে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়রা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে কলেজ চত্বরে থাকা অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোঁড়ে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন ছাত্র-জনতা আহত হন।

অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ এনে বিক্ষুদ্ধ জনতা ১৮ জুন বিকেলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস এবং শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়কে গলায় জুতারমালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানায়। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
এসএএইচ
 


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।