ঝিনাইদহ: আল-আমিন হোসেন। বয়স ৩৩ হলেও উচ্চতা মাত্র ৪২ ইঞ্চি।
অন্যদিকে, ৩০ পার হয়ে গেলেও বিয়ে হচ্ছিল না আসমা খাতুনের। কারণ তার উচ্চতাও যে ৪২ ইঞ্চিই। মিলছে না জুতসই পাত্র। তাই তো আসমা খাতুনের বিয়ে নিয়েও চিন্তায় ছিলেন তার বাবা-মা।
অবশেষে সব দুশ্চিন্তার অবসান। দুজনের জন্যই মিলেছে জুতসই পাত্র-পাত্রী। দুয়ে দুয়ে চার হয়ে, চার হাত এক হয়েছে। দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর অবশেষে খর্বকায় এই দুই নারী-পুরুষের বিয়ে হওয়ায় খুশী দুই পরিবার লোকজন।
শুক্রবার (৩ মার্চ) কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থানার করিমপুর গ্রামের কনে আসমা খাতুনের বাড়িতে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ে হয় আল-আমিনের।
আল-আমিন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার চর-বাখরবা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। কনে আসমা খাতুন কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার করিমপুর গ্রামের আকমল জোয়াদ্দারের মেয়ে।
বিয়ের পর নববধূ আসমা খাতুন এসেছেন বরের বাড়ি চর-বাখরবা গ্রামে। শনিবার (৪ মার্চ) এই নব দম্পতিকে দেখতে বরের বাড়িতে ভিড় করেন গ্রামবাসী। দুজনকে দেখতে এসে উপহারও দিচ্ছেন অনেকে।
জানা গেছে, ৪২ ইঞ্চি তথা সাড়ে ৩ ফুট উচ্চতার আল-আমিনের পরিবারে ৫ ভাই ও এক বোন। আল-আমিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট। বাবা আব্দুল খালেক কৃষি কাজ করেন।
কৃষক আব্দুল খালেক জানান, বয়স ৩৩ হয়ে গেলেও বিয়ে হচ্ছিল না ছোট ছেলে আল-আমিনের। তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। অবশেষে বিয়ে দিতে পেরে ভীষণ খুশি। তারা সংসার জীবনে ভালো থাকুক, সুখী হোক সেই দোয়া করি।
আসমা খাতুনের বোন শিউলী খাতুন জানান, আমার বাবা কৃষক। আমাদের পরিবারে ৪ বোন ও এক ভাই রয়েছে। আসমার বিয়ে নিয়ে পরিবারের সবার মধ্যে একটা টেনশন ছিল। অবশেষে বোনকে বিয়ে দিতে পেরে অমরা সবাই ভীষণ খুশি হয়েছি। সবাই হাসিমুখে মেনে নিয়েছে, আনন্দ করে ওদের বিয়ে দিয়েছে।
চর-বাখরবা গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, আসমার বিয়ে হওয়াতে আমি খুবই খুশি হয়েছি। গ্রামের লোকজনও অনেক খুশি। নব-দম্পতির জন্য দোয়া রইলো।
আল-আমিনের ভাবি রিনা খাতুন জানান, বিয়েতে আমরা সবাই খুশি। দোয়া করি, যেন আল-আমিন ও আসমার সংসার সুখে-শান্তিতে চলে। এমন বিয়ে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, মার্চ ৫, ২০২৩
এনএস