ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে ভারতের সাশ্রয়ী ও উচ্চমানের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি একই সঙ্গে প্রতিরক্ষা খাতে যৌথ উন্নয়ন ও উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
রোববার (৫ মার্চ) রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত এক সেমিনারে এ প্রস্তাব দেন তিনি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষাখাতে সহযোগিতার উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন ‘সেমিনার অন ইন্ডিয়ান ডিফেন্স ইকুইপমেন্ট (এসআইডিই)‘ শিরোনামে সেমিনারের আয়োজন করে।
ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতা-উল হাকিম সারওয়ার হাসান সেমিনারে মূল বক্তব্য দেন।
সরকারি ও বেসরকারি খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভারতীয় প্রতিরক্ষা পণ্য নির্মাতারা সেমিনারে অংশ নিয়ে তাদের প্রতিরক্ষা পণ্য ও প্ল্যাটফর্মসমূহের ওপর উপস্থাপনা করেন। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী, আধা-সামরিক বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রতিরক্ষা-শিল্প খাতে সহযোগিতাকে প্রতিরক্ষা অংশীদারত্বের একটি উদীয়মান কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করেন। তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া, মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’ দৃষ্টিভঙ্গি কর্তৃক পরিচালিত গত প্রায় এক দশকে ভারতীয় প্রতিরক্ষাশিল্পের অর্জনসমূহ তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ভারত সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ডিফেন্স লাইন অব ক্রেডিটের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য ভারতের প্রস্তুতির কথা ব্যক্ত করেন। উভয় পক্ষের প্রতিরক্ষাশিল্পকে এই ব্যবস্থার পূর্ণ সুবিধা নেওয়ার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের সিজিএস লেফটেন্যান্ট জেনারেল হাসান ভারতের প্রতিরক্ষা উৎপাদনক্ষমতার প্রশংসা করেন এবং প্রতিরক্ষা-শিল্পে আরও ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্বের জন্য দুই পক্ষের মধ্যে প্রগাঢ় সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ