নারায়ণগঞ্জ: শবে বরাত উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের বাজারে বেড়েছে গরু ও মুরগির মাংসের বেচা-বিক্রি। বাজারে ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) শহরের দ্বিগুবাবুর বাজার, মাসদাইর বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমনই দৃশ্য।
এদিকে বাজার ঘুরে ক্রেতাদের মধ্যে পাওয়া গেছে তীব্র ক্ষোভ। সন্তানদের প্লেটে মাংসের টুকরো তুলে দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের।
বাজার করতে আসা ফকির গার্মেন্টসের ল্যাব ইনচার্জ হিমেল বলেন, গরুর মাংস কিনতে এসেছিলাম। দাম অনেক বেশি। বাড়িতে মানুষ ৬ জন। এক কেজি গরুর মাংস দিয়ে কী আর হবে! তাই মুরগি কিনলাম।
বাজারের গরুর মাংসের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায় কেজির বদলে 'ভাগা' হিসেবে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। এসব দোকানে সর্বনিম্ন আড়াইশ গ্রাম করে মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও সোনালি ৩৫০ টাকা ও লাল মুরগি ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লার মুরগির দেকানগুলোতে গরুর মাংসের মতো কেটে টুকরো করে বিক্রি করা হচ্ছে মুরগিও।
বিক্রেতারা জানান, দাম বেশি হওয়ায় অনেক ক্রেতাই ছোট সাইজের মুরগি চান। তাদের সুবিধার্থেই বড় ব্রয়লারগুলো কেটে বিক্রি করছি।
শহরের মাসদাইর বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায় আরেক বিরল দৃশ্য! মুরগির দোকানের চেয়ে বেশি ভিড় ছিল মুরগির চামড়া, মাথা, পা, গলা-গিলা-কলিজা বিক্রির দোকানে। স্থানীয়দের ভাষায় এগুলোকে 'মুরগির লাড়াবাড়া' বলে, যা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। কিছুদিন আগেও এগুলো ১শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও, মানুষ তা কিনতে আগ্রহী ছিলেন না।
বাজার করতে আসা গৃহকর্ত্রী রাবেয়া খাতুন বলেন, মুরগি ও গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি। তাই গিলা-কলিজাই কিনছি।
মুরগি বিক্রেতা মিলন জানান, দাম অনেক বেশি। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই আমরাও বেশি দরে বিক্রি করছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০২৩
এমআরপি/এনএস