গাজীপুর: ঘরের দরজায় ঝুলছিল তালা। ভেতর থেকে আসছিল শিশুর কান্না।
গৃহবধূর গলায় রয়েছে কালো দাগ। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া ঘরে রাখা তিন লাখ টাকাও খোয়া গেছে বলে জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
এসব আলামতে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন তার স্বামী। এরপর টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ দক্ষিণ পাড়া এলাকায়। নিহত গৃহবধূর নাম কল্পনা রানী। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার কৈলাটি এলাকার দীনেশ চন্দ্র বর্মনের মেয়ে তিনি। অভিযুক্ত পলাতক স্বামীর নাম অঞ্জু বর্মন। সুনামগঞ্জের তাহেরপুর থানার ইন্দ্রপুর এলাকার সন্তোষ বর্মনের ছেলে অঞ্জু।
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেলে নিহত কল্পনার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনার বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত ইমতিয়াজ বলেন, তিনদিন আগে স্বামীকে নিয়ে কল্পনা রানী আমবাগ এলাকায় তার বাবার ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন। শুক্রবার সকালে বাসার সবাই যার যার কর্মস্থলে যান। এ সময় কল্পনা, তার মেয়ে এবং স্বামী অঞ্জু বর্মন বাসায় ছিল। দুপুরে কল্পনার বাবা বাসায় ফিরে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ দেখেন। এক পর্যায়ে ভেতর থেকে নাতনি তাকে ডেকে বলতে থাকে তার মা নড়াচড়া করছে না, বিছানায় পড়ে আছে। পরে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে কল্পনা রানীর মরদেহ দেখতে পায় তার বাবা।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে কল্পনা রানীকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের গলায় কালো দাগ রয়েছে। হত্যার পর ওই বাসা থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১০ মাস আগে কল্পনাকে বিয়ে করেন অঞ্জু রানীর বিয়ে হয়। এটি তাদের দুজনের দ্বিতীয় বিয়ে। ছয় বছর বয়সী মেয়েটি কল্পনার আগের ঘরের। কল্পনার বাবা ও ভাইয়ের কোনাবাড়ী বাজারে মাছের ব্যবসা রয়েছে। তার মা স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০, মার্চ ১০, ২০২৩
আরএস/এসএএইচ