ঢাকা, বুধবার, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজধানীর দুই স্থানে গলায় ফাঁস যুবক-যুবতীর!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
রাজধানীর দুই স্থানে গলায় ফাঁস যুবক-যুবতীর! ছবি: প্রতীকী

ঢাকা: রাজধানীতে আলাদা ঘটনায় দুইজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের পরিবারের দাবি তারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নিহতেরা হলেন- কদমতলি থানার শনিরআখড়ায় সাহেলা ভুইয়া (২২) ও ওয়ারীর বনগ্রামের হাবিব শেখ (২৮)।

সোমবার (১৩মার্চ)  শনিরআখড়ায় নিজ বাসা থেকে সাহেলাকে অচেতন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওয়ারীর বনগ্রামের বাসা থেকে হবিব শেখের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মৃত সাহেলার বড় ভাই কামরুল হাসান ভূঁইয়া জানান, তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলায়। বাবার নাম শামছুল আলম ভূঁইয়া। বর্তমানে শনিরআখড়ার শাহী মসজিদ রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

তিনি আরও জানান, সাহেলার এক বছর আগে মালয়েশিয়া প্রবাসী মেহেদী হাসানের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শনিরআখড়ার ওই বাসায় একাই ভাড়া থাকতো সাহেলা। সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে দেখতে পাই দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তখন দরজা ভেঙে দেখা যায় সাহেলা ফ্যানের সঙ্গে গলায় উড়না পেচিয়ে ঝুলে আছে। পরে তাকে নামিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

স্বজনদের ধারনা স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে ঝগড়া হয়েছে, এই কারণে সাহেলা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া সাহেলার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

এদিকে মৃত হবিবের ভাই শামীম শেখ জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পারকুশলী গ্রামে। বাবার নাম তাইজুল ইসলাম। বর্তমানে ওয়ারীর নবগ্রাম এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তার বাবা নবাবপুর এলাকায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবসা করেন। বাবার প্রতিষ্ঠানে বসতেন হাবিব।

শামীম আরও জানান, হাবিব সকাল ১০টার দিকে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেয়ে আবার দরজা লাগিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পর তাকে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ পাওয় যায়নি। তখন দরজা ভেঙে দেখা যায় হাবিব ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নেছার উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে বনগ্রামের ওই বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় হাবিব ফ্যানের সঙ্গেগলায় গামছা দিয়ে ঝুলছিল। তার রুমে একটা চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা রয়েছে ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।