ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি

ঢাকা: বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস)।

বুধবার (১৫ মার্চ) বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাশিসের মহাসচিব মো. আবদুর রহমান বলেন, আমাদের স্বাধীনতার মূল চেতনা ছিল বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা। প্রায় সবক্ষেত্রেই এই বৈষম্য দূরীকরণে সরকার সচেষ্ট হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে এখনো বৈষম্য রয়ে গেছে। আজও আমাদের দেশে সরকারি-বেসরকারি নামে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দ্বিধাবিভক্ত করে রাখা হয়েছে। যেখানে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা একই এবং একই সিলেবাস ও কারিকুলামে পাঠদান করে থাকেন। সেখানে বেতন-ভাতার অসম পার্থক্য মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেলে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন এবং পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট প্রদান করেছেন। কিন্তু তারপরেও স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করা একজন শিক্ষকের বেতন মাত্র ১২ হাজার ৫০০টাকা। ১০ বছর চাকরি করার পরে একটি উচ্চতর স্কেল এবং ১৬ বছর চাকরি করার পরে আরো একটি উচ্চতর স্কেল প্রদান করেও একজন শিক্ষকের সর্ব-সাকুল্যে বেতন দাঁড়ায় মাত্র ২২ থেকে ২৩ হাজার টাকা।

তিনি আরো বলেন, ২০১৫ সালে জাতীয় বেতন স্কেল প্রদানের পর প্রায় ৮ বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু এখনো নতুন কোনো পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়নি। দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতিতে সামান্য বেতনে শিক্ষক-কর্মচারীদের সংসার চালানো এবং সন্তানদের পড়ালেখার খরচ চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষক সমাজ আজ ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ২০০৪ সালে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দেওয়া হলেও প্রায় ১৮ বছরে তা আর বাড়েনি। বাড়িভাড়া বাবদ দেওয়া হয় ১ হাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা বাবদ দেওয়া হয় ৫০০ টাকা। এসব সমস্যা নিরসনে ২০২৩-২৪ জাতীয় বাজেটে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবি জানান তিনি।  

পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের বেতনসহ অন্যান্য আয় সরকারি কোষাগারে জমা নিয়ে সেই টাকা দিয়েই শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন-ভাতাদি দেওয়া সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

এজন্য আগামী ২০ মার্চ দেশের প্রতিটি জেলায় মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মরকলিপি দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

এছাড়া আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারিদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা ও এজন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া না হলে আসন্ন ঈদের পর মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক সংগঠনের সমন্বয়ে মহাসমাবেশ ও অন্যান্য কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বাশিসের নেতারা।

বাশিসের সভাপতি মো. ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলেনে আরো উপস্থিত ছিলেন সমিতির যুগ্ম মহাসচিব মো. ফারুক হোসেন, মো. মহরম আলী খান, সহ সভাপতি মো. সুলতান আলী, মো. শরীফুল আলম, মো. ফজলুর রহমান খান, অর্থ সচিব হরেন্দ্র নাথ মজুমদার, ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
এসসি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।