ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত বেড়ে ১৯

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এক্সপ্রেসওয়েতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নিহত বেড়ে ১৯ দুর্ঘটনা কবলিত বাস

মাদারীপুর: মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালের এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ১৭ জন। শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।  

পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যুর খবর জানা যায়। বেলা সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।     

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের একটি বাস পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এ সময় দুমড়েমুচড়ে যায় বাসটি।  

সকাল সোয়া ৮টা পর্যন্ত বাসের মধ্যে থেকে ১৪ জনের মতো যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে শিবচরে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও তিনজন।

মরদেহ শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তবে নিহতদের মধ্যে সুইটি (২০) নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সুইটির বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের পাচুরিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম মো. মাসুদ মিয়া।

ঢামেক হাসপাতালে মারা যাওয়া দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ৬৫, আরেকজনের ২৬। তাদের নাম জানা যায়নি। এই দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে সাতজন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট মাহাবুবুর রহমান মুন্না খুলনা থেকে জানিয়েছেন, ইমাদ পরিবহনে থাকা খুলনার তিন যাত্রী ও চালকসহ পাঁচজনের খোঁজ মেলেনি।

ইমাদ পরিবহনের রয়্যাল মোড়ের কাউন্টার মাস্টার শরীফ তাকে বলেন, ভোরে খুলনা থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসটি নয়জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। দুর্ঘটনার পর খুলনার ছয়জনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে, বাকি তিনজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। এ ছাড়া বাসের চালক ও সুপারভাইজারের কোন সন্ধান মেলেনি।

তিনি আরও বলেন, যাত্রী তালিকা থেকে দেখলাম ৪০ জন যাত্রীর মধ্যে খুলনার নয়জন খুলনার যাত্রী। রয়্যালের মোড় থেকে প্রথমে চারজন, পরে সোনাডাঙ্গা থেকে পাঁচজন যাত্রী ওঠেন। বেশিরভাগ যাত্রী উঠে গোপালগঞ্জের।

মাদারীপুর জেলার পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, বাসচালকের বেপরোয়া গতিই এ দুর্ঘটনার জন্য দায়ী। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি সরাতে ঘটনাস্থলে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।