মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরের পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহন দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হওয়ার পর মহাসড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে।
গতিসীমা লঙ্ঘন করায় মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত ১৩টি মামলা হয়েছে।
এদিকে গতিসীমা লঙ্ঘন করার অপরাধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ২৮৪টি মামলা করে হাইওয়ে পুলিশ। জানুয়ারিতে এ সংখ্যা ছিল ৩১৫টি।
শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু নাইম মো. মোফাজ্জেল হক বলেন, ‘গতিসীমা লঙ্ঘন করায় মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পৌনে ৩টা পর্যন্ত ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরদিন সোমবার একই অপরাধে মামলা হয় ২৫টি। এছাড়াও বিভিন্ন অপরাধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। গতিসীমা লঙ্ঘনের মামলা আরও হতে পারে। '
এদিকে জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পল্লব কুমার হাজরা বলেন, ‘তদন্তের জন্য নির্ধারিত ২য় দিনের কাজ এখনো চলমান আছে। আমরা কাজ করছি। বেধে দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী আজ (মঙ্গলবার) রাত ১২টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ’
উল্লেখ্য, রোববার ভোর রাতে খুলনা থেকে যাত্রী বোঝাই করে ইমাদ পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৩৩৪৮) ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া থেকে ১৫ জন যাত্রী তোলে। পদ্মা সেতুর আগে ঢাকা-খুলনা এক্সপ্রেসওয়ের মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় আসার পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। বাসটি এক্সপ্রেস হাইওয়ের নিচের আন্ডারপাসের গাইড ওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১৪ জন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জনকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাঁচ্চর রয়েল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় আরও দুইজনের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
আরএ