ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সব ধর্মাবলম্বীর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সব ধর্মাবলম্বীর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে

নাটোর: ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম। ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ।

এ সম্প্রীতি ও ঐতিহ্য রক্ষা করতে সব ধর্মাবলম্বীর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে, দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী আন্তঃধর্মীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টায় দিনব্যাপী এ সংলাপ শুরু হয়।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে সংলাপে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধর্মীয় নেতারা দেশের সুনাগরিক। তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূলে ধর্মের বাণী যথাযথভাবে প্রচার করে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দেশে শান্তি-সম্প্রীতি অব্যাহত রাখা গেলে উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে দেশ অনায়াসে পৌঁছে যাবে। পদ্মা সেতু চালুর ফলে দেশের ডিজিপি দুই শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আরও ১০টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ডিজিপি দ্বিগুণ হবে।  

বঙ্গবন্ধু ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন, ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি ঘোষণা করেন, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার জন্য জমি দেন, কাকরাইল মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন, মদ-জুয়া নিষিদ্ধ করেন, রেসকোর্স ময়দানে ঘোড়দৌড় বন্ধ করেন, বেতার ও টেলিভিশনে কোরআন তেলাওয়াত চালু করেন, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাংক অনুসরণ করে ইসলামের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের প্রত্যেক জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করছেন। হজকে সহজ, সুন্দর ও ভোগান্তিমুক্ত করতে হজ আইন-২০২১ প্রণয়ন, ডিজিটাল হজ ব্যবস্থাপনা চালু করেছেন এবং জেদ্দা বিমানবন্দরে হজ টার্মিনাল স্থাপন করেছেন। তিনি ইসলামী-আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং দাওড়া হাদিসকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমমান দিয়েছেন।

সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ধর্ম নিরপেক্ষতার অর্থ ধর্মহীনতা নয়। এর অর্থ সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। এ নীতি আমাদের সবার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে শেখায়, মানবিক আচরণ করতে শেখায়। উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তির কারণে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাকের মতো দেশ বিপন্ন হয়ে গেছে। তাই এদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য মো. শহিদুল ইসলাম বকুল, নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এবং ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রত্না আহমেদ, পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান, নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সাজেদুর রহমান খান, নাটোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শরিফুল ইসলাম রমজান, নাটোর পৌরসভার মেয়র উমা চৌধুরী জলি, নাটোর জজকোর্টের পিপি এডভোকেট সিরাজুল ইসলামসহ অনেকে।

‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংলাপে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লা আল শাহীন।  

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), বিভিন্ন ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং সাংবাদিকরা এতে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।