নড়াইল: ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে নড়াইলে ৯ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। নোংরা পরিবেশ, অধিক মূল্য রাখা ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে মোট ১২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সদর উপজেলার পুরাতন বাস টার্মিনাল, রুপগঞ্জ ও গোবরা বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নড়াইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রমাণিকের নেতৃত্বে আনসার সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।
অভিযান সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভোক্তা অধিকারের অভিযানের খবর পেয়ে বাজার থেকে মুরগি ব্যাবসায়ীরা পালিয়ে যায়। উপস্থিত কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছে মুরগির মূল্য তালিকা না থাকায় এবং বয়লার মুরগি ২২০ টাকা ও সোনালী ৩৫০ টাকায় বিক্রির দায়ে জরিমানা করা হয়। মূল্য তালিকা না থাকায় মুদি দোকান এবং কাপড়ের দোকানকেও জরিমানা করা হয়। এছাড়া গোবরা বাজারে গোবরা মিষ্ঠান্ন ভাণ্ডারকে দধি তৈরিতে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকায় জরিমানা করা হয়েছে। অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে তাদের।
এদিন অভিযানে- মেসার্স বিশ্বাস ভাণ্ডারকে ৫০০ টাকা, মেসার্স আবু মোসা স্টোরকে ৫০০ টাকা, মেসার্স মোল্যা ফল ভাণ্ডারকে ১০০০, মেসার্স মামা ভাগ্নে ফল ভাণ্ডারকে ৫০০, মেসার্স লাবিয়া কসমেটিকসকে ২০০০, মেসার্স গোবরা মিষ্ঠান্ন ভাণ্ডারকে ৫০০০, মেসার্স হাফিজুর স্টোরকে ১০০০, মেসার্স সেলিম স্টোরকে ১০০০, মেসার্স আব্দুল ওয়াহাব মিষ্ঠান্ন ভাণ্ডারকে ১০০০ টাকাসহ মোট ১২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়।
সহকারী পরিচালক প্রণব কুমার প্রমাণিক বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অধিকাংশ ব্যাবসসায়ীরা পালিয়ে গেছেন। তবে উপস্থিত কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে পুরো রমজান মাস আমাদের কড়া নজরদারি থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
জেডএ