ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঝালকাঠিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
ঝালকাঠিতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

ঝালকাঠি: ঢাকার কোতোয়ালি থানার নবাবপুরে চাঞ্চল্যকর রজব আলী হত্যাকাণ্ডের যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মিলন সিকদার (৩৮) ওরফে চোপা মিলনকে গ্রেফতার করেছে নলছিটি থানা পুলিশ।  

শনিবার (১ এপ্রিল) রাতে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নলছিটি থানার এসআই মো. এনামুল হাসানের নেতৃত্বে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় থেকে র‌্যাব-৩ এর সহায়তায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 

মিলন সিকদার নলছিটি উপজেলার চৌদ্দবুড়িয়া এলাকার মৃত আব্দুল মান্নান সিকদারের ছেলে।  

পুলিশ জানায়, আসামি মিলন ও রজব আলী তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দুজনেই মাদকাসক্ত ছিল। দুজনে পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে দল বেধে মাদক সেবন করত। একদিন মাদক সেবনের সময় তাদের হাতে পর্যাপ্ত টাকা ছিল না। তখন রজব আলী তাদের মাদক সেবনের সঙ্গী সজিব নামে একজনের মোবাইল জামানত রেখে মাদকের টাকা সংগ্রহ করে সবাই মিলে দল বেধে মাদক সেবন করে।  

পরবর্তীতে জামানতের টাকা পরিশোধ না করেই তারা ভিকটিমের নিকট জামানত দেওয়া মোবাইলটি দাবি করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। শত্রুতার জের ধরে মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি জিকুর নেতৃত্বে আসামি মো. মিলন সিকদার ওরফে চোপা মিলনসহ রহিম ওরফে আরিফ, আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে টাইগার, মন্টি, আকাশ ওরফে রাসেল, ফরহাদ হোসেন ওরফে ফরহাদ, সজিব আহমেদ খান, শাহীন চাঁন খাদেম ও মোহাম্মদ আলী হাওলাদার বাবু ভিকটিম রজব আলীকে শায়েস্তা করার জন্য পরিকল্পনা করে।  

২০১১ সালের ২৪ জুলাই রাতে রাজধানীর কোতোয়ালি থানাধীন নবাবপুরে মোবাইলের দোকানে  রজব আলী টাকা রিচার্জ করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী জিকুসহ আরও ৪ থেকে ৫ জন মিলে রজব আলীকে ঢাকা জজ কোর্টের পিছনে ১৬/এ কোর্ট হাউজ স্ট্রিটের পূর্ব পাশে নিয়ে যায়।  

সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা মিলন, আকাশ ওরফে রাসেল, ফরহাদ হোসেন ওরফে ফরহাদ, সজিব আহমেদ খান, শাহীন চাঁন খাদেমসহ সবাই মিলে রজব আলীর উপর এলোপাতাড়ি আক্রমণ করে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করলে রজব আলী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। রজব আলী চিৎকার শুরু করলে চারপাশ থেকে লোকজন ছুটে এলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে পথচারীরা প্রথমে নিকটস্থ ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যায়।  

এ ঘটনায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় রজবের ভাই জুম্মন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১২ সালে ০৫ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেয়। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য নেওয়ার পর ২০১৯ সালের ১ আগস্ট মামলার রায় ঘোষণা করেন।  

উক্ত রায়ে জিকু, রহিম ওরফে আরিফ ও আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে টাইগারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং আসমি মিলনসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, গোয়েন্দা তৎপরতা এবং তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শনিবার রাতে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে দুপুরেই আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।