ঢাকা: বোনের বিয়ের জন্য স্বর্ণালংকার ও আইফোন কিনে দেশে পাঠানোর জন্য আরেকজনকে দেন এক প্রবাসী। কিন্তু সে বাহক দেশে ফিরে স্বজনদের কাছে এসব না দিয়ে চলে যান নিজের গ্রামের বাড়ি।
প্রবাসীর পাঠানো স্বর্ণালংকার ও আইফোন বেচে নিজেই কেনন বাইক, করেন একতলা পাকা বাড়ি। বিমানবন্দর থানায় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে অবশেষে খোয়া যাওয়া স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও টাকা উদ্ধার করে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার (২ এপ্রিল) ডিএমপি সদরদপ্তরে উদ্ধার কর প্রবাসীর পাঠানো নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন বাবা-মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ঘটনার বিবরণে ডিএমপি জানায়, এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া বিয়ের মেয়ের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। ভালো পাত্র পেয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করেন তার অভিভাবক। দুবাই প্রবাসী বড় ভাই বোনের জন্য ক্রয় করেন স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও হবু জামাইয়ের জন্য আইফোন। পরিচিত এক দুবাই প্রবাসীর কাছে কাস্টমসের জন্য ১৪৫০ দিরহাম দিয়ে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন বোনের কাছে পৌঁছে দিতে বুঝিয়ে দেন।
নির্দিষ্ট দিনে বিমানবন্দরে মালামাল গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন প্রবাসীর বাবা। কিন্তু প্রতারক প্রবাসী ফাঁকি দিয়ে চলে যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। সব বিক্রি করে দিয়ে নিজের জন্য তৈরি করে একতলা দালান, কিনেন দামি মোটরসাইকেল।
এদিকে বিয়ে ভেঙে যায় প্রবাসীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া বোনের। এ ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি বিমানবন্দর থানায় আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করেন প্রবাসীর বাবা।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান জানান, মামলার পর কাজ শুরু করে পুলিশ। ডিবি লালবাগ বিভাগের একটি অভিযান চালিয়ে স্বর্ণালংকার বিক্রির টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন এবং ৫ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে। এরপর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে রোববার (২ এপ্রিল) এসব বুঝিয়ে দেওয়া হয় প্রবাসীর বাবা-মায়ের কাছে। খোয়া যাওয়া মালামাল ফিরে পেয়ে তারা ডিবি পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।
এ সময় ডিএমপি সদরদপ্তরে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন ও ডিবি দক্ষিণ) সঞ্জিত কুমার রায় প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২৩
পিএম/জেএইচ