ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদ উপলক্ষে রেল কারখানায় মেরামত হচ্ছে ১০০ কোচ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
ঈদ উপলক্ষে রেল কারখানায় মেরামত হচ্ছে ১০০ কোচ

নীলফামারী: আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় মেরামত করা হচ্ছে ১০০টি রেলকোচ।  

দিনে-রাতে সমান তালে চলছে কাজ।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পর্যন্ত ৭০টি রেলকোচ মেরামত করা হয়েছে এ কারখানায়। বাকিগুলো মেরামত করে আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে পরিবহন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে কারখানা সূত্র জানায়।
 
সূত্রটি আরও জানায়, ১৮৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা ঈদকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে। কারখানার ২৬টি শপে রেলকোচ মেরামত চলছে। যদিও এ কারখানায় জনবল ও উপকরণ সংকটসহ নানা সমস্যা রয়েছে, তবুও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতায় সব সময় কাজে গতি মেলে।  

অবশ্য শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভার টাইমের (অতিরিক্ত কাজের মজুরি) ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসছে ঈদুল ফিতরে অতিরিক্ত যাত্রীসেবা দিতে মেরামত করা হচ্ছে ১০০টি রেলওয়ে কোচ।

কারখানার বিভিন্ন শপের কর্মচারীরা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে আমাদের কাজ চলছে। এখন কাজের জন্য দম ফেলার ফুরসত নেই। ঈদ ঘনিয়ে আসছে, তাই কাজের চাপও বাড়ছে। ক্যারেজ শপে মেরামত হয়ে আসা কোচগুলো আমরা রঙ করছি। কেউ ওয়েলডিংয়ের কাজ করছেন।
 
কারখানা সূত্র জানায়, ঈদকে সামনে রেখে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে ১০০টি কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৮৩টি ব্রডগেজ (বড়) ও ১৭টি মিটার গেজ (ছোট) কোচ। এর মধ্যে ৩৫টি জরাজীর্ণ কোচ রয়েছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পর্যন্ত ৭০টি রেলকোচ মেরামত করা হয়। বাকিগুলো ১৮ এপ্রিলের মধ্যে পরিবহন বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।  

একই সূত্র জানায়, সৈয়দপুর রেলওয়ের দুই হাজার ২৫৯ জন শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৬২১ জন। মাত্র ২১ শতাংশ জনবল নিয়ে চলছে রেলওয়ে কারখানার বিশাল কাজ। অল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে ব্যাপক চাপের মধ্য দিয়ে কাজ চলছে কারখানায়। এছাড়া রয়েছে বাজেট স্বল্পতা, উপকরণ সরবরাহসহ নানা সমস্যা।  

এ নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (ডিএস) সাদেকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, কারখানার সিডিউল অনুযায়ী প্রতিদিন আমাদের তিন ইউনিট (দেড়টি কোচ) কোচ মেরামতের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। কিন্তু এবার ঈদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিদিন ছয় ইউনিটের বেশি কোচ মেরামত করতে হচ্ছে। যা শ্রমিক-কর্মচারীদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে সম্ভব হচ্ছে।  

তিনি বলেন, কারখানায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, খুব শিগগিরই জনবল সংকটের সমাধান হবে।  

এ প্রসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (সিএমই) মুহাম্মদ কুদরত-ই খুদা বলেন, মেরামত করা কোচগুলো বিভিন্ন ট্রেনে সংযুক্ত হলে ঈদে যাত্রী পরিবহনে কোনো অসুবিধা হবে না।  সে লক্ষ্যে আমাদের কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারীরা কাজ করে চলেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।