ঢাকা: রাজধানীর বঙ্গবাজারে আগুনের ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্ফুলিঙ্গ পুরোপুরি নেভেনি। আগুন নেভাতে আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, ১৫-২০ জন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ফিল্টার বোতল কেটে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন। ফায়ার সার্ভিসের ছিটানো পানি থেকে সড়কে যেসব পানি জমেছে, সেখান থেকে পানি সংগ্রহ করছেন তারা।
এ স্বেচ্ছাসেবকদের একজন জাহিদ। বঙ্গবাজারে পোশাক সরবরাহ করেন তিনি। বলেন, সকালে আগুনের খবর শুনে ছুটে এসেছি। সারাদিন যতটুকু পেরেছি ব্যবসায়ীদের মালামাল বের করতে সহযোগিতা করেছি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনও পুরোপুরি আগুন নেভাতে পারেনি। তাই তাদের সহযোগিতা করতে আমরা যতটুকু পারছি পানি ছিটানোর চেষ্টা করছি।
চকবাজার থেকে ছুটে এসেছেন সেখানকার একটি দোকানের কর্মচারী মো. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছেন। এখনও অনেক জায়গায় আগুন জ্বলছে। আমরা তাই নিজেরাও চেষ্টা করছি।
বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও পুরোপুরি নেভেনি। রাত ৯টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত এনেক্সকো টাওয়ার, বঙ্গবাজারে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া স্থান ও মহানগর মার্কেটে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেটি নেভানোর চেষ্টা করছেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া থেকে বেঁচে যাওয়া মালামাল উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু শ্রমিক সংকট ও ভাড়া বেশির কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল আটটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ৪১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ৪৩টি ইউনিট যাওয়ার খবর জানায় ফায়ার সার্ভিস। ৪৮টি ইউনিটের প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা চেষ্টায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে বঙ্গবাজার এলাকার মোট ছয়টি মার্কেট পুড়ে গেছে। এর মধ্যে চারটি পুরোপুরি ও দুটি আংশিক। দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাঁচ হাজারের বেশি দোকান পুড়ে গেছে। আর্থিক ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক কয়েক হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
এসসি/এমজে