ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত, দুর্ঘটনার শঙ্কা

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটে ঝুঁকিপূর্ণ যাতায়াত, দুর্ঘটনার শঙ্কা

ভোলা: ঈদ সামনে রেখে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ রুটে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করলেও এখনো এই রুটে বাড়ানো হয়নি কোনো লঞ্চ। পর্যাপ্ত লঞ্চ ও সি-ট্রাকের অভাবে বাধ্য হয়েই যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রলার ও ছোট লঞ্চে যাতায়াত করছেন।

বিপজ্জনক এই রুটে উত্তাল মেঘনায় ঝুঁকিপূর্ণ পারাপারের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়ছে। এতে ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

জানা গেছে, ভোলার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগের সহজ মাধ্যম হচ্ছে নৌ পথ। তাই ওই সব অঞ্চলের যাত্রীদের ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুট ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এ রুটটি ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঞ্জার জোনের আওতায় থাকায় শুধুমাত্র সি ট্রাক ও সি সার্ভে সনদধারী লঞ্চ চলাচলের অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে বিপজ্জনক মৌসুমে অনুমোদিত দুটি সি-ট্রাক ও একটি লঞ্চ চলাচল করায় বিকল্প ব্যবস্থায় যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট ট্রলার ও স্পিটবোটে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অবৈধ এসব নৌ যানে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন যাত্রীরা।

যাত্রী আবুল কালাম বলেন, জরুরি প্রয়োজনে সময় মতো লঞ্চ পাচ্ছিনা, তাই বাধ্য হয়ে ট্রলারে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

আরেক যাত্রী সোহরাব বলেন, এখন দুর্যোগের মৌসুম। এ সময় যে কোনো মুহর্তে ঝড় হতে পারে। কিন্তু এ রুটে এখনো নিরাপদ লঞ্চ দেওয়া হয়নি। তাই যাত্রীদের ছোট ট্রলারে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে ছোট ট্রলারগুলো চলছে। কিন্তু প্রশাসনের অভিযোগ নেই। ঈদের আগে এ সমস্যার সমাধান না হলে যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নৌ বন্দর কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খুব শিগগির এ রুটে আরও ১০টি লঞ্চ দেওয়া হবে। আর যাতে অবৈধভাবে নৌ যান চলাচল করতে না পারে সেজন্য বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের অভিযান চলছে।

ভোলা নৌ পুলিশের ইনচার্জ মো. আখতার হোসেন জানান, ঈদে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ নৌ চলাচল বন্ধে কাজ করছে নৌ পুলিশ। আমাদের দুটি টিম সার্বক্ষণিক অভিযানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে থাকা তিন লাখের অধিক মানুষ গ্রামের বাড়ি ভোলায় আসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।