ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ক্ষতি পোষাতে অস্থায়ী দোকান বসছে বঙ্গবাজারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
ক্ষতি পোষাতে অস্থায়ী দোকান বসছে বঙ্গবাজারে

ঢাকা: আগুনে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা যাতে ঈদের আগে অস্থায়ীভাবে বসে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন সেজন্য দ্রুত পোড়া স্তুূপ পরিষ্কার করা হবে। ক্ষতিগ্রস্ত মালিক ও ব্যবসায়ীদের দুটি তালিকা করতে বলা হয়েছে।

তালিকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।  

বৃহস্পতিবার সকালে আগুনে পোড়া বঙ্গবাজার পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

এর আগে তিনি আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেন।

সালমান এফ রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ঈদের আগে এখানে অস্থায়ীভাবে বসে কিছুটা ব্যবসা করে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান। এই ব্যাপারে আমি একমত। যত দ্রুত সম্ভব এই পোড়া স্তূপ পরিষ্কার করে তাদের বসার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কিন্তু এখানে কিছু আইনের ব্যাপার আছে। তাই আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার আগে এই জায়গা পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। আমি এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে কথা বলবো। আশা করছি আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে এটি পরিষ্কার করা যাবে।

তিনি বলেন, জায়গাটি পরিষ্কার করে দিলে ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে বসেও যদি ঈদের আগে কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন, সেটিই ভালো। পুরোটা তো রিকভার করা যাবে না; যতটুকু পারা যায়।

প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা আরও বলেন, এর আগে যখন বঙ্গবাজারে আগুন লেগেছিল, তখনই সরকার এখানে নতুন করে মার্কেট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পাশাপাশি যাদের দোকান ছিল, তারাই মার্কেটে দোকান পাবে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু এরপর একটি গ্রুপ এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে আদালত সেটি স্থগিত করে দেন, যা এখনো বহাল আছে। এখন আমরা তাদের (বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতি) বলবো, নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে যারা এই রিটটি করেছেন তাদের দিয়ে সেটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য। তখন সরকারের মার্কেট তৈরির যে পরিকল্পনা ছিল, সেটি বাস্তবায়ন করা হবে। কিন্তু আগে হাইকোর্টের মামলাটি প্রত্যাহার করতে হবে।

তিনি বলেন, আমি মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছেন একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে ওই রিটটি হয়েছিল। তারা এখন সিটি করপোরেশনের সাথে বসে রিটটি প্রত্যাহার করবেন। তারপর প্রয়োজন হলে আবার নতুন নকশা করে এখানে মার্কেট নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।

ক্ষতিগ্রস্ত মালিক ও ব্যবসায়ীদের দুইটি তালিকা করা হচ্ছে জানিয়ে সালমান এফ রহমান আরও বলেন, আমরা মালিক সমিতিকে দুটি তালিকা করতে বলেছি। একটি ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের এবং আরেকটি ব্যবসায়ীদের। আগামী রোববারের মধ্যে এ তালিকা হয়ে যাবে। তালিকাটি প্রয়োজন কারণ, কাকে আমরা ক্ষতিপূরণ দেবো, কতটুকু সাহায্য করবো এটা নির্দিষ্ট করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছেন। এজন্য আমরা বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতিকে বলেছি, ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটের মালিক সমিতির সঙ্গে এটি যৌথ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে। অ্যাকাউন্ট করা হলে, সেটির নম্বর আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করে দেব। পাশাপাশি নগদ ও বিকাশ নম্বরও করে দেওয়া হবে, যাতে সহায়তাকারী সেসব নম্বর ও অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারেন।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, আগামী শনিবার (৮ এপ্রিল) থেকে ব্যবসায়ীরা বঙ্গবাজারে অস্থায়ীভাবে দোকান পরিচালনার সুযোগ পাবেন। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ফোন করেছিলেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আগামীকাল এ জায়গা পরিষ্কার করে ফেলা হবে। রোববার (৯ এপ্রিল) থেকে ব্যবসায়ীরা অস্থায়ীভাবে তাদের ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তবে শুধু যারা এখানকার প্রকৃত ব্যবসায়ী তারাই এখানে বসার সুযোগ পাবেন। নতুন করে অন্য কাউকে বসতে দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০২৩
এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।