ঢাকা: হরেক রঙের আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের ষড় ঋতু। কোনো-কোনো চিত্রে ফুল-পাখি, লতা-পাতা আঁকা, লেখা-‘পোস্টার না লাগানোর অনুরোধ, ‘হর্ন বাজাবেন না’।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ফ্লাইওভারের পিলারে গ্রাফিতি চিত্র কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এই শহরটা আমাদের। আমরা যে পোস্টার লাগাচ্ছি, আমরা যে শহরটাকে নিজেরাই দৃশ্য দূষণ করে ফেলছি। এই শহরের মধ্যে আমরা ঘুরে-ঘুরে দেখি কি ছিল পিলারগুলা। এই পিলারগুলো দেখে মনে হয় এখানে কোনো মানুষ বাস করে না। আমরা সবাই অমানুষ হয়ে গিয়েছি। আমরা নিজেদের খেয়াল করি না।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়র আরও বলেন, ফ্লাইওভারের পিলারে পোস্টার লাগানো হয়। যত ধরণের পামপট্টি মারা দরকার, পোস্টারে মারা হয়। সেখানে পামপট্টি মেরে লেখা হয় অমুক ভাই এগিয়ে চলো, আমরা আছি পেছনে। এরপর নিচে লেখা হয়, সৌজন্যে অমুক ভাই। এই সৌজন্যে যারা লেখবেন, তাদের জন্য মেসেজ একটাই। জরিমানা করা হবে। কোর্টের মাধ্যমে জেল হবে।
মেয়র আতিক আরও বলেন, আমাদের নিজেদেরই ঠিক হতে হবে। এটা সরকার করে দেবে না, সিটি কর্পোরেশন করে দেবে না। আমরা প্রত্যেকেই যদি সচেতন হই, আমরা কিন্তু পারবো।
এর আগে, ফ্লাইওভারের পিলার জুড়ে ছিল ধুলো-ময়লার আস্তরণ। বিভিন্ন স্থানে রঙ উঠে পিলারগুলো হয়ে গিয়েছিল বিবর্ণ। সেখানে এখান এমন দৃষ্টিনন্দন আয়োজনের জন্য সন্তুষ্টি জানিয়েছেন সাধারণ জনগণ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহঃ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আ, ন, ম তরিকুল ইসলাম, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার সরদার, ৮ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মিতু আক্তার, ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর নাজমুন নাহার হেলেন ও ডিএনসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মাকসুদ হাসেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০২৩
এমকে/এমজে