রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানীতে রমজান মাস উপলক্ষে ক্ষতিকর বিভিন্ন উপকরণ ও কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল ভেজাল আখের গুড়। যা খাঁটি গুড় হিসেবে সরবরাহ করা হতো ঢাকাসহ সারা দেশে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেই ভেজাল আখের গুড়ের কারখানাগুলোর সন্ধান পায় র্যাব-৫। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেই ভেজাল গুড়ের কারখানাগুলোয় অভিযান চালায় র্যাব।
এ সময় বাঘা উপজেলার আড়ানী বাজারের ৭টি কারখানা থেকে ৩ হাজার ৬০০ কেজি ভেজাল গুড় জব্দের পর সেগুলো ধ্বংস করা হয়। একইসঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে সেসব প্রতিষ্ঠানকে।
বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৫ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযানের তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফজলে এলাহী জানান, রমজান মাসে শরবতের জন্য সারা দেশেই আখের গুড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভার দিয়াড়পাড়া গ্রামের মিঠন আলী, সবুজ আলী, মহন আলী, রতন প্রামানিক, রকি আহমেদ, কাজিম আলী ও লিটন হোসেন নানান রকমের ভেজাল উপকরণ দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে আখের গুড় তৈরি করছিলেন। তারা চিনির সঙ্গে বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল, চুন, হাইড্রোজ, ফিটকিরি, ডালডা ও আটা ব্যবহার করে আখের ভেজাল গুড় তৈরি করে আসছিলেন। যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অধিক মুনাফার আশায় তারা ভেজাল গুড় তৈরি ও বাজারজাত করতেন। গুড় তৈরির পর তার রঙ উজ্জ্বল করতে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করতেন।
তিনি জানান, যৌথ অভিযানে জব্দ হওয়া ৩ হাজার ৬০০ কেজি ভেজাল গুড় ও গুড় তৈরির উপকরণ জনসন্মুখে ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ভেজাল গুড় উৎপাদন ও বাজারজাতের অপরাধে সংশ্লিষ্ট কারখানা মালিকদের মোট ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২৩
এসএস/এসএএইচ