ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দাম বাড়লেও সেমাইয়ে চাহিদা ক্রেতাদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
দাম বাড়লেও সেমাইয়ে চাহিদা ক্রেতাদের

ঢাকা: কদিন বাদেই মুসলিম উম্মাহর সবচেয়ে বড় আনন্দ উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ এলেই বাড়িতে বাড়িতে তৈরি হয় সেমাইয়ের বিভিন্ন পদ।

তাই ঈদের বাজারে এ পণ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ভোক্তাদের চাহিদার সুযোগে সেমাইর দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতারা। চলতি বছর রমজান শেষ দিকে এসে এ চিত্র দেখা যাচ্ছে। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেমাইয়ের দাম বেড়ে গেছে।

রোববার (১৬ এপ্রিল) ইফতারের পর রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় বিভিন্ন মোকাম ঘুরে সেমাইয়ের দাম বাড়তি দেখা গেছে।

ঈদ উপলক্ষে অবশ্য শুধু সেমাই নয়, বেড়েছে চিনি-দুধের দামও। গত বছরের তুলনায় এ বছর কেজি প্রতি চিনির দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কিশমিশ, বাদাম, জাফরান, কাজুবাদামসহ আনুষঙ্গিক পণ্যও।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোয় অন্য সময়কার মতো খোলা সেমাই নেই। ফলে, বছরব্যাপী বিক্রি হওয়া মাঝারি মানের বনফুলের ২০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাইর প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে। যেটি এক মাস আগেও ৪৫ টাকায় বিক্রি হতো।

একই সেমাই আবার অনলাইন শপে গ্রামের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। সে হিসেবে গত বছরের তুলনায় দোকানগুলোয় ৫ টাকা আর অনলাইন শপে সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা বেশিতে। যে হিসেবে এক কেজির সেমাই ২৫ থেকে ৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।

মিঠাই ব্র্যান্ডের বাদাম, কিশমিশ ও ঘি দেওয়া লাচ্ছা সেমাই ২০০ গ্রামের প্যাকেট ১৫০ টাকা। যেটি গতবার বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। বনফুল, প্রাণ, ওয়েল ফুডের ২০০ গ্রাম লম্বা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা প্রতি প্যাকেট। এছাড়া ভলম্বা কুলসন, কিশোয়ান, ড্যানিশ ও প্রিন্স ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই গত বছরের মতোই বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা প্যাকেট। অনলাইনে শপে প্যাকেট প্রতি ৫ টাকা করে অর্থাৎ ৪৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

রাঁধুনী ২০০ গ্রামের লম্বা সেমাই ৪৫ টাকা; বনফুলের গোল ২০০ গ্রাম লাচ্ছা সেমাই ৫৫; বনফুলের ভারমিসিলি সেমাই ৪০; ডেকো ১৮০ গ্রাম লাচ্ছা ৫০; লম্বা ডেকো ১৮০ গ্রাম শাহী সেমাই ৪০; ২০০ গ্রামের লম্বা কক ভারমিসেলি লাল সেমাই ৪৫ ও ৪০০ গ্রামের ওয়েল ফুড লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়।

বাজারে চিনি ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ২০২২ সালে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া মাঝারি মানের কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে। আর কাজু বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে।

সেমাইর বাজার নিয়ে জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের দোকানি রাইসুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বেচা বিক্রি কমেছে কিছুটা। মানুষের তো একটু অর্থনৈতিক সমস্যা আছেই এখন। আগামী সপ্তাহে কিছু বাড়তে পারে। সেমাই-চিনি সাধারণত ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বেশি বিক্রি হয়।

নিকেতন এলাকার ব্যবসায়ী হাসান আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, এখনও আমাদের খোলা সেমাই আসেনি। দুয়েকদিন পর আসবে। তখন বিক্রি বাড়বে আশা করছি।

একই মোকামে কথা হয় ক্রেতা শরীফ হোসেনের সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বাজারে এসেছিলাম খোলা সেমাই কিনতে। কিন্তু কোথাও পেলাম না, প্যাকেট নিলাম কিছু। এরপর ২-৩ দিনের মধ্যে আবার এসে নেব।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৩
এমকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।