ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গাবতলীতে চাপ বাড়লেও ভোগান্তি নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
গাবতলীতে চাপ বাড়লেও ভোগান্তি নেই

ঢাকা: ঈদের আগে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে গাবতলী বাস টার্মিনালে। সকালে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে।

অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় টার্মিনালে যাত্রী বাড়লেও কাউন্টারগুলো ছিল ফাঁকা। কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে যাত্রীরা রওনা দিচ্ছেন নিজ গন্তব্যের দিকে।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।

পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সর্বাত্মক সহযোগিতায় যাত্রীরা কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই রওনা দিচ্ছেন নিজ গন্তব্যে। তবে গত বছরের চেয়ে যাত্রীদের চাপ এ বছর বেশি বলে জানিয়েছেন বাস কাউন্টারগুলোর টিকেট বিক্রেতারা। তারা বলেন, করোনার দুই বছর যাত্রী ছিল না। গত বছরও করোনা আতংকের কারণে যাত্রী কম ছিল। তবে এ বছর যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি।

সোহাগ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, অনলাইনে আমাদের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। গাড়ির শেষের দিকে দুই-চারটি টিকিট রয়েছে। যাত্রীরা আসছেন নির্ধারিত মূল্যে টিকেট নিয়ে গাড়ির অপেক্ষা করছেন। গাড়ি ছাড়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। কোনো ধরনের সিডিউল বিপর্যয় ছাড়াই যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি যাচ্ছেন।

পরিবারের সবাইকে আগেই বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নূর আলম। এবার নিজে ১২০০ টাকা দিয়ে এসি বাসের টিকিট কিনে দিনাজপুর যাচ্ছেন। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গরমের কারণে এসি গাড়ির টিকিট ক্রয় করেছি। দাম খুব একটা বেশি না। যে গরম পড়েছে একটু স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আগে কল্যাণপুর থেকে গাবতলীতে আসতে এই সময়ে এক-দুই ঘণ্টা জ্যামে পড়ে থাকতে হতো। এ বছর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কারণে এই সড়কে কোনো যানজট নেই। আশা করছি রাত সাড়ে ১০টায় গাড়ি ছাড়লে মহাসড়কে যদি যানজট না থাকে তাহলে নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো।

মহাসড়কে তেমন যানজট না থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সিডিউল বিপর্যয় হয়নি বলে জানিয়েছেন শ্যামলী পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা সুমন। তিনি বলেন, মহাসড়কে তেমন কোনো যানজট নেই। আমরা সিডিউল অনুযায়ী গাড়ি ছাড়ছি, সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ মিনিট দেরি হচ্ছে।

তবে কাউন্টারে টিকিট না পেয়ে হতাশ হয়েও অনেক যাত্রীকে ফিরতে দেখা গেছে। অনলাইনে টিকিট কিনতে না পেরে বাড়ি যাওয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে বলে জানালেন শেওড়াপাড়া থেকে টিকিট কাটতে আসা তোফাজ্জল হোসেন। তিনি বলেন, বরিশাল যাব, পরিবার নিয়ে অনেক কাউন্টারে ঘুরলাম। টিকিট আগেই সব অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে। জানি না এ বছর বাড়িতে গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারবো কিনা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০২৩
এসএমএকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।