চাঁদপুর: সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপন হচ্ছে।
গত ২২ মার্চ আরবের দেশগুলোর সঙ্গে রোজা রাখা শুরু করে এসব গ্রামের লোকজন।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় সাদ্রা দরবার শরিফ ময়দান ও ১০টায় সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের পৃথক দুটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবারের পীর আল্লামা মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী ও মাওলানা মোহাম্মদ আরিফ চৌধুরী। এ ছাড়া একই এলাকায় আরও কয়েকটি ঈদের জামায়াত হয়েছে।
এদিকে সকাল ৯টায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার টোরা মুন্সীরহাট জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মো. রহমত উল্যাহ।
এছাড়াও সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মণিহার, বড়কূল, অলিপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মোহনপুর, এখলাশপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলী, শহারাস্তি উপজেলা কয়েকটি গ্রামের আংশিক এলাকায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল থেকেই ঈদের জামায়াতের প্রস্তুতি চলে এসব গ্রামে। মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন ময়দানে। কোথাও মসজিদ আবার কোথাও ঈদগাতে অনুষ্ঠিত ঈদের জামায়াত। নামাজের আগে রোজা পরবর্তী করণীয়, নামাজ, জাকাত অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেন ইমামরা।
আগাম দুই ঈদ ও রোজা পালনের এই রীতি চালু হয় ১৯২৮ সাল থেকে। ওই এলাকার প্রখ্যাত আলেম মাওলানা ইসহাক (রহ.) এই আগাম ঈদ উদযাপন ও রোজা পালনের প্রচলন শুরু করেন। এরপর থেকে তার অনুসারী লোকজন এইভাবে ঈদ উদযাপন করে আসছেন। প্রথম পর্যায়ে এই ঈদ পালন নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এক সময় অনুসারী বাড়তে থাকে।
মরহুম ঈসহাক (রহ.) এর ছেলে মুফতী জাকারিয়া আল-মাদানী বাংলানিউজকে বলেন, অনেক গণমাধ্যমে এই বিষয়টি সঠিকভাবে লেখা হয় না। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নয় বরং ইসলামের রীতি অনুযায়ী কুরআন, হাদীসসহ অন্য কিতাবগুলোর স্পষ্ট বর্ণনার আলোকে আমরা ঈদ উদযাপন করে আসছি। অর্থাৎ সর্বপ্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা রাাখি এবং ঈদ উদযাপন করি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
এসএএইচ