সিরাজগঞ্জ: ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার জন্য ভিড় বেড়েছে সিরাজগঞ্জের বিপণি বিতানগুলোতে। মধ্য ও নিম্নবিত্তের শ্রমজীবী মানুষ দলে দলে কেনাকাটার জন্য আসছেন মার্কেটগুলোতে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শাওয়ালের চাঁদ দেখার পর থেকেই শহরের নিউ মার্কেট, এবি সুপার মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ও পৌর হকার্স মার্কেটসহ বিপণি বিতানগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে।
এসব মার্কেট নারী, শিশু থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় জমজমাট হয়ে উঠেছে মার্কেটগুলো।
পৌর নিউ মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটসহ ও বেশ কয়েকটি বিপণি বিতান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। স্বল্প মূল্যের থ্রি-পিচ, পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্ট ও জুতার দোকানেই ভিড় বেশি। এছাড়াও কসমেটিক ও শাড়ির দোকানেও রয়েছে গ্রাহকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের অধিকাংশই শহরতলী থেকে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শ্রমজীবী ও কৃষক পরিবারের। আবার অনেকেই গার্মেন্ট কর্মী, আজকেই ঢাকা থেকে এসেছেন। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন।
ঝর্ণা খাতুন, রুপালি বেগম, লাবনী খাতুন নামে তিন গার্মেন্ট কর্মী জানান, কাজের চাপে ঢাকায় কেনাকাটার সুযোগ হয়নি। আজ বাড়ি পৌঁছে স্বজনদের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছেন।
রিকশাচালক রমজান আলী বলেন, কাজের ফাঁকে স্ত্রীর জন্য শাড়ি আর ছেলের জন্য প্যান্ট-শার্ট কিনলাম। নিজের জন্য এবার কিছু কিনতে পারিনি।
নির্মাণ শ্রমিক খালেক ও ভুট্টো বলেন, আজকে কাজ শেষ হয়েছে, বেতনও পেয়েছি। বউ ছেলে-মেয়ে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি।
নিউমার্কেট এলাকার সূচিত্রা ফ্যাশনের মালিক দিলিপ বসাক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঢিলেঢালা চলছিল ঈদের বেচাকেনা। আজ ভিড় সামাল দেওয়াই দায় হয়ে পড়েছে। ক্রেতাদের কম দামের পোশাকের প্রতি চাহিদা বেশি।
রফিক বস্ত্রালয়ের রফিকুল ইসলাম বলেন, আজ ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। যা সন্ধ্যার পর থেকে হঠাৎ করেই বেড়েছে। রাত ১০টা বাজলেও ভিড় কমছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৩
এমএইচএস