ঢাকা: ঈদের ছুটিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্র এবং পার্কে চোখে পড়ার মতো ভিড় দেখা গেছে। গত কয়েকদিন প্রচণ্ড গরমের কারণে মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে গেছে।
যদিও ঘুরতে আসা এসব মানুষের অভিযোগ, শহরে পর্যাপ্ত বিনোদনকেন্দ্রের অভাবের কারণে একপ্রকার বাধ্যহয়ে একই স্থানে বারবার যাচ্ছেন তারা। সেই সঙ্গে ছুটির দিনগুলোতে এসব বিনোদনকেন্দ্রে অতিরিক্ত দর্শনার্থী এবং নতুনত্ব কিছু না থাকায় একঘেয়েমি পরিবেশ মনে করছেন অনেকেই। ফলে বাধ্য হয়ে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন নগরবাসী।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ঘুরে দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। এদিনও পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই ঘুরতে এসেছেন চন্দ্রিমা উদ্দান, নভোথিয়েটার, রমনা পার্ক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
যদিও রাজধানীতে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বিনোদনকেন্দ্র ঘুরেফিরে কয়েকটিই। বিনোদনকেন্দ্রের অভাবের কারণেই বাধ্য হয়ে একই স্থানে বারবার যাচ্ছেন দর্শনার্থীরা। এসবের মধ্যে নভোথিয়েটার, বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর, চন্দ্রিমা উদ্দান এবং রমনা পার্কে ভিড়ে বেশি ছিল।
রমনা পার্কে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী মো শাওন খানের সঙ্গে। তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন সেখানে। যেসব স্থানে অর্থের বিনিময়ে বিনোদন নিতে হয় সেগুলো তার তেমন একটা পছন্দ নয়। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিনোদনের জন্য আমি থিম পার্কের (আধুনিক রাইড ও অবকাঠামো বিশিষ্ট পার্ক) থেকে খোলা জায়গা পছন্দ করি। পছন্দ না করার কারণ হচ্ছে, এসব পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত নাও হতে পারে। আর বাচ্চারা সারাদিন এমনিতেই ঘরের মধ্যে থাকে। তাদের খোলা স্থানে ঘুরতে নিয়ে আসলে ভাল উপভোগ করবে। এক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য ও মন দুটোই ভাল থাকবে।
যদিও এসব স্থানে ঘুরতে আসা অনেকে বলছেন, প্রয়োজনের তুলনায় ঢাকা শহরে বিনোদনের কেন্দ্র খুবই কম। পাশাপাশি একই বিনোদন কেন্দ্রে বারবার ঘুরে অনেকেরই একঘেয়ামি চলে এসেছে।
এবিষয়ে নভোথিয়েটারের সামনে কথা হয় বিচেন্দ্র নামের এক অভিভাবকের সঙ্গে। এখন পর্যন্ত ছয় বার পরিবার নিয়ে নভোথিয়েটার এবং সামরিক জাদুঘরে এসেছেন তিনি। সঙ্গে তার তিন মেয়ে এবং ছোট ছেলে আছে। শহরে বিনোদনকেন্দ্রের অভাব বলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে এখানে এসেছেন এমনটাই জানিয়েছেন এই অভিভাবক। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সরকার যদি নতুন কোনো বিনোদন কেন্দ্র করে তাহলে আমাদের জন্যই অনেক ভালো। পাশাপাশি সরকার যদি এসব পুরনো বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উদ্যোগ নিয়ে যদি নতুনত্ব কিছু আনে তাহলে আমাদের জন্য ভাল হয়। কারণ বারবার এক যায়গায় যেতে তেমন ভাল লাগে না।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
ইএসএস/এমএমজেড