ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নরসিংদীতে বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা, আসামি ১২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
নরসিংদীতে বাড়িতে ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা, আসামি ১২ ঘটনাস্থলে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

নরসিংদী: নরসিংদীর রায়পুরার চরাঞ্চলে ককটেল মারতে বাধা দেওয়ায়  বাড়িতে ঢুকে এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর মামলা হলেও এখন পযর্ন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

 

সোমবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিহতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় ১২ জনকে আসামি করে এ হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঈদের দিন (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রায়পুরার নিলক্ষ্যার বীরগাঁও গ্রামে নিজ বাড়িতে ঢুকে জুলহাস মিয়া (২৮) নামে এক পোল্ট্রি ব্যাবসায়ীকে হত্যা করা হয়। ওই সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় সাদ্দাম, ইয়ামিন, হাবিব ও আমিনুল। তাদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকায় ও বাকি দুইজনকে নরসিংদীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যদিকে হত্যাকাণ্ডের দুইদিন পর নিহত জুলহাসের বাড়িতে খোঁজখবর নিতে গেছেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অর্নিবাণ চৌধুরী, (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

পুলিশ ও নিহত স্বজনরা জানান, পবিত্র ইদুল ফিতরের দিন সন্ধ্যায় রায়পুরার নিলক্ষ্যার হরিপুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে জিয়া, আরিফ,সোলমান,মামুনসহ বেশ কয়ে়কজন যুবক বীরগাও গ্রামের সামসু মিয়ার ছেলে জুলহাসের মুরগির ফার্মের সামনে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। ওই সময় জুলহাস তাদের বাধা দেন। এতে তারা জুলহাসের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরে তারা দলবল নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জুলহাসের বাড়িতে ঢুকে জুলহাসকে গুলি করেন। এ সময় তার স্বজনরা বাধা দিতে আসলে তাদেরও গুলি করে। পরে জুলহাসকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গুলিবিদ্ধ চারজনকে চিকিৎসা দিতে ঢাকায় ও নরসিংদীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নিহতের ভাই মানিক মিয়া বলেন, হরিপুর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে জিয়া, আরিফ, সোলমান, মামুনসহ বেশ কয়ে়কজন যুবক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের বাধা দেওয়ায় তারা নির্মমভাবে প্রকাশ্যে জুলহাসকে গুলি করে হত্য করে। তারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে এসে বাড়িতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। এত বড় ঘটনার পরও তারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি।

নিহতের মামা আজান মিয়া বলেন, আমরা কখনও ঝগড়া পছন্দ করি না। আমাদের লোকজনকে যারা গুলি করে হত্যা ও আহত করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।  

রায়পুরা থানার ডিউটি অফিসার এসআই আরিফ রাব্বানি বলেন, নিহতের মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞতনামা আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।

রায়পুরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত)  গোবিন্দ সরকার বলেন, আমরা সকাল থেকেই ঘটনাস্থল নিলক্ষ্যাতে রয়েছি। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।