ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ, সাংবাদিকের বাড়ির পানির লাইন বিচ্ছিন্ন!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট     | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ, সাংবাদিকের বাড়ির পানির লাইন বিচ্ছিন্ন! সংগৃহীত প্রতীকী ছবি

বরগুনা: ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য মেয়রের ঈদ উপহারের ব্যানার টাঙিয়ে বিতরণের খবর প্রকাশ করায় বরগুনার আমতলী উপজেলার স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাসার পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ আমতলী পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে।

গত রোববার (২৩ এপ্রিল) আমতলী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাংবাদিক মনিরুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  

মনিরুল ইসলাম একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের বরগুনা সংবাদদাতা ও একটি দৈনিক পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি।  

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল আমতলী পৌরসভায় টিসিবির আওতায় কার্ডধারী পরিবার ২ হাজার ৩৬২ জন তার মধ্যে ১ হাজার ৭৭২ পরিবারকে টিসিবির পণ্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে দেখা যায়, টিসিবির পণ্য বিতরণের ব্যানার টাঙানোর কথা থাকলেও সেটা না টাঙিয়ে মেয়রের ঈদ উপহারের ব্যানার টাঙিয়ে টিসিবির পণ্য বিতরণ করা হয় এবং ১ হাজার ৭৭২  এর পরিবর্তে ১ হাজার ৭৬২ পরিবারকে মেয়রের ঈদ উপহার বলে ভুল তথ্য দিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচারও করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ ও বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন পৌরসভার সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে এ অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন মনিরুল ইসলাম। এরপরই পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমানের নির্দেশে গত ২৩ এপ্রিল দুপুর থেকে ওই  সংবাদকর্মীর পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পানির বিল বকেয়া না থাকলেও বিনা নোটিশে পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় বিপাকে পড়েছে পরিবারটি।

সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের জের ধরে আমতলী মেয়র মতিয়ার রহমানের নির্দেশে আমার বাসার পানির সংযোগ নোটিশ ছাড়া বিচ্ছিন্ন করা হয়। চলতি মাসের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পানির বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখ থাকলেও কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই বন্ধের দিন এসে আমার বাসার পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এটি সম্পূর্ণ অমানবিক এবং অনৈতিক। বিষয়টি আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলমকে মোবাইলফোনের মাধ্যমে অবহিত করেছি।  

এ ব্যাপারে আমতলী পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকের যদি পানির বকেয়া বিল পাওনা থাকে তবে আগে তাকে নোটিশ দেওয়ার কথা, নোটিশ ছাড়া ছুটির দিনে কীভাবে গ্রাহকের পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে! আমার জানা নেই।  

এদিকে টিসিবির পণ্য নিজের ঈদ উপহার বলে বিতরণ অভিযোগ অস্বীকার করে মেয়র মতিয়ার রহমান মোবাইলফোনে বলেন, আমি নিজে ঈদসামগ্রী বিতরণ করেছি। সবাইকে সেমাই, দুধ ও টাকা দিয়েছি। কিন্তু বিষয়টিকে নিয়ে ভুয়া নিউজ করেছেন মনিরুল ইসলাম।

পানির লাইন বিচ্ছিন্ন বিষয়ে তিনি বলেন, মনিরুল ইসলামে বাসার পানির বিল বকেয়া থাকায় লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।