নীলফামারী: আগামী জুন মাসের আগেই নীলফামারী-সৈয়দপুর মহাসড়কে পণ্য পরিবহনের উৎসমুখে এক্সেল রোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এ খবর পেয়েই অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশায় রাতারাতি গড়ে উঠছে অসংখ্য স্থাপনা।
কয়েকটি দালাল চক্র অনুমোদনহীনভাবে নিম্নমানের কাঁচামাল ও ব্যবহার অযোগ্য পুরনো ও চিকন রড ব্যবহার করে নির্মাণ করছে এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা। এতে করে ভূমি অধিগ্রহণে বাড়তি অর্থ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের শিমুলতলী এলাকায় এক্সেল রোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের জন্য চার ধারা মোতাবেক গত ৬ এপ্রিল জমির মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়। ওই নোটিশে অন্যান্য শর্তের পাশাপাশি অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার আশায় জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও অবকাঠামো নির্মাণ না করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, জমি অধিগ্রহণের ৪ ধারা নোটিশ উপেক্ষা করে এক্সেল রোড নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপনের শিমুলতলী এলাকায় রাস্তার দুই পাশে প্রায় দুই একর জমিতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। একটি দালাল চক্র এসে মহাসড়কের পাশে যাদের জমি আছে, তাদের ভুলভাল বুঝিয়ে ক্ষতিপূরণের টাকা ও স্থাপনা ভাগাভাগি করে নেওয়ার শর্তে এসব স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণ করছে। নিম্নমানের কাঁচামাল দিয়ে রাতারাতি গড়ে ওঠা এসব স্থাপনার ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও করছেন স্থানীয়রা।
এ প্রসঙ্গে নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের জন্য ইতোমধ্যে ওই জমিগুলোর মালিকদের কাছে ৪ ধারার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই নোটিশের আগে ওই জায়গাগুলো কি অবস্থায় ছিল তা আমাদের কাছে প্রকল্প প্রস্তাবের সময় সড়কের আগের অবস্থা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখা হয়েছে। অধিক টাকার আশায় ভবন নির্মাণ করে লাভ নেই। ৪ ধারার নোটিশের আগে ওই জমিগুলো যে অবস্থায় ছিল সেগুলোরই শুধু ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এফআর