ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা আছে: লি জ্যাং-কিউন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা আছে: লি জ্যাং-কিউন দক্ষিণ কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন

ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে চলতি মাসেই বিদায় নিচ্ছেন। ঢাকা থেকে বিদায়ের আগে বাংলানিউজকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি।

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলানিউজের ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট তৌহিদুর রহমান।

বাংলানিউজ: বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে। দুই দেশের সম্পর্ককে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

লি জ্যাং-কিউন: কোরিয়া ও বাংলাদেশ গত ৫ দশক ধরে প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এই সম্পর্ক গভীর ও জোরদার  করছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সবচেয়ে বড় অর্জন আরএমজি সেক্টরে। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের আরএমজির জনক নূর কাদের একটি কোরিয়ান কোম্পানি ডেইউ কর্পোরেশনের সাথে একটি অংশীদারত্বে প্রবেশ করেন, যা বাংলাদেশে পোশাকশিল্পের সূচনা করে। এরপর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আরএমজি রপ্তানিকারক হওয়ার যাত্রায় কোরিয়ান কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম এবং বৃহত্তম আরএমজি বিদেশি বিনিয়োগকারী ইয়ংওন কর্পোরেশন চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেড বা কেইপিজেড প্রতিষ্ঠা করেছে, এটি বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ইপিজেড। বাংলাদেশে প্রায় ৩০০ কোরিয়ান কোম্পানির মধ্যে বেশির ভাগই আরএমজি খাতে। বাংলাদেশে কোরিয়ার বিনিয়োগের প্রায় ৮০ শতাংশই আরএমজি।

আরএমজি সহযোগিতার সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রসারিত হয়েছে; যেমন অবকাঠামো, আইসিটি, অটোমোবাইল, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন সহযোগিতা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জনগণের মধ্যে বিনিময়।

কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে প্রায় ১১০টি কোরিয়ান কোম্পানি বাংলাদেশে প্রায় ২০০টি প্রকল্পে অংশ নিয়েছে। মোট প্রকল্পের মূল্য 8 বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই উন্নয়ন সহযোগিতায় বাংলাদেশ কোরিয়ার অন্যতম অগ্রাধিকার অংশীদার দেশ। কোরিয়ার অফিসিয়াল উন্নয়ন সহায়তার-ওডিএ তৃতীয় বৃহত্তম প্রাপক। কোরিয়ার স্যামসাং এবং হুন্দাই স্থানীয়ভাবে বাংলাদেশি কোম্পানির সাথে অংশীদারত্ব করছে। স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স প্রায় এক দশক ধরে ঢাকায় তার গবেষণা ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে। জনগণের মধ্যে আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কোরিয়ায় অধ্যয়ন করছে, যাদের অধিকাংশই প্রকৌশল ও উচ্চতর ডিগ্রি নিচ্ছেন। এছাড়াও কোরিয়া এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেম- ইপিএসের মাধ্যমে ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিচ্ছে। কোরিয়া ২০২১ সাল থেকে ৬ হাজার কর্মী নিয়ে যাচ্ছে, যা আগের বছরগুলিতে গড়ে প্রায় ১৫০০ ছিল। ২০২৩ সালে এটি আরও বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হবে।

যাই হোক দুই দেশের এখনো বিশাল সম্ভাবনা আছে। বর্তমান সুসম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে উভয় দেশের আগ্রহও বাড়ছে। এই বছর ৫০তম কূটনৈতিক বার্ষিকী চিহ্নিত করা সেই লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

বাংলানিউজ: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য গত বছর তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। কীভাবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানো যায়?

লি জ্যাং-কিউন: গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়া খুবই উৎসাহজনক। প্রকৃতপক্ষে কোরিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ২০১১ সালে ১.৮৭ বিলিয়ন ডলারের শীর্ষে পৌঁছানোর প্রায় এক দশক পরে স্থবির হয়ে পড়ে, যা ছিল খুবই অস্বাভাবিক। এমনকি ২০২০ সালে এটি ১.৪২ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে এটি ২০২১ সাল থেকে ২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ২০২২ সালে আরও লাফিয়ে এখন ৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আমাদের এই  গতি ধরে রাখতে হবে।

কোরিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানির ক্ষেত্রে আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, কোরিয়া ২০১২ সাল থেকে কোরিয়ান বাজারে বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দিয়ে আসছে, যখন কোরিয়ার অনেক পণ্য বাংলাদেশে উচ্চহারে শুল্কের সম্মুখীন হয়। আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা বাংলাদেশের কোম্পানিগুলোকে মনে রাখা উচিত, তা হলো তারা যখন একটি অপ্রচলিত পণ্য কোরিয়ায় রপ্তানি করে তখন তারা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে উচ্চ নগদ প্রণোদনা পেতে পারে। কোরিয়ায় রপ্তানিকারকরা প্রায় ৪ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন।

কোরিয়ায় বাংলাদেশের মোট রপ্তানির ৮৫ শতাংশের বেশি আরএমজি, টেক্সটাইল এবং গার্মেন্টস খাতে। ২০২২ সালে ৬৭৭ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৫৬৩ মিলিয়ন ডলার ছিল গার্মেন্টস এবং টেক্সটাইল। শুধু আরএমজি একাই কোরিয়াতে রপ্তানি বাড়াতে পারে।

কোরিয়ায় ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল পাঠানো এবং কোরিয়ার বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোরিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশকে কঠোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে। মেরিটাইম এবং এয়ার কার্গো উভয় ধরনের সরাসরি কার্গো লাইন স্থাপন কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।

বাংলানিউজ: দক্ষিণ কোরিয়া ভ্রমণে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের ট্যুরিস্ট ভিসা সহজ করার কোনো উদ্যোগ আছে কি?

লি জ্যাং-কিউন: কোরিয়ায় আসতে বাংলাদেশিদের আমরা স্বাগত জানাই। বিশেষ করে যারা অফিসিয়াল বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কোরিয়া ভ্রমণ করছেন, আমরা তাদের একাধিক এবং বহু বছরের ভিসা দিয়ে প্রক্রিয়া সহজ করার চেষ্টা করি। করোনা মহামারির প্রেক্ষিতে কিছু সময়ের জন্য বাংলাদেশিদের কোরিয়া ভ্রমণ স্থগিত করলেও, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বাংলাদেশিরা এখন কোরিয়া ভ্রমণ করছে।

বিদেশিদের অবৈধ অবস্থান রোধ করার জন্য আমরা আবেদনকারীদের নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে থাকি। যেহেতু মাঝে মাঝে কেলেঙ্কারির ঘটনাও ঘটছে এবং কিছু লোক তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও দেশে ফিরে আসে না, সে কারণে পর্যটকদের জন্য কঠোর শর্ত প্রয়োগ করা অনিবার্য হয়ে ওঠে।

বাংলানিউজ: বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য শীর্ষ পছন্দের দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এ বছর ইপিএস পদ্ধতিতে কতজন কর্মী কোরিয়া যেতে পারবেন?

লি জাং-কিউন: বাংলাদেশের অভিবাসী কর্মীরা কোরিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। করোনা মহামারির আগে কোরিয়া ইপিএস স্কিমের মাধ্যমে বছরে গড়ে ১৫০০ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী নিতো।

মহামারিজনিত কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইপিএস কর্মী নেওয়ার স্থগিতাদেশের পর কোরিয়া ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে আবারও বাংলাদেশি শ্রমিক নেওয়া শুরু করে। ২০২২ সালে প্রায়  ৬ হাজার বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী কোরিয়ায় গিয়েছিল। এই বছর আমরা ইপিএসের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা করছি। বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী বছরগুলোতে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যে, এ বছরই প্রথম কোরিয়া বিভিন্ন ভিসা ক্যাটাগরিতে দক্ষ বাংলাদেশি কর্মী নিতে শুরু করেছে। ওয়েল্ডার এবং পেইন্টার যারা কোরিয়ার শিপইয়ার্ডে কাজ করবে এবং তাদের বেতন অনেক বেশি হবে। এ বছর এ পর্যন্ত এই ক্যাটাগরির প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী কোরিয়ায় গেছেন।

বাংলানিউজ: বাংলাদেশ-কোরিয়া বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে কোনো বাধা দেখছেন কি? যদি হ্যাঁ  হয়ে থাকে, তাহলে কীভাবে এই বাধাগুলো অতিক্রম করা যেতে পারে?

লি জ্যাং-কিউন: অনেক কোরিয়ান বাংলাদেশে ব্যবসার সুযোগ ক্রমবর্ধমান দেখছে, কারণ বাংলাদেশ দৃঢ় অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রেখেছে। বাণিজ্য বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো জটিল, অপ্রত্যাশিত এবং কখনও কখনও অস্বচ্ছ আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া। যখন একটি ব্যবসায়িক কোম্পানি সরকারি কর্তৃপক্ষের সাথে সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন এটি প্রায়ই নিজস্ব প্রক্রিয়ায় নয় বরং ব্যক্তিগত সংযোগগুলো পরিস্থিতির সমাধান করে। তাছাড়া সমস্যা বা পরিস্থিতির সমাধান হতে অনেক সময় লাগে। তাদের ক্রমবর্ধমান আর্থিক ব্যয় এবং ব্যক্তিগত বা সাংগঠনিক যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়।

বাংলাদেশে কোরিয়ান বাসিন্দাদের ভিসার মেয়াদ বাড়ানো একটি উদাহরণ। যদিও তারা বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করছেন, দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা ও বিনিয়োগ চালাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই প্রতি বছর ভিসার মেয়াদ বাড়ানো বা নবায়নের জন্য আবেদন করতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন পেতে দীর্ঘ সময় লাগে, দুই-তিন মাসেরও বেশি সময় লাগে।

আমি বিশ্বাস করি যে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত কোরিয়ান যারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে, যারা বাংলাদেশে বসবাস করছে, ব্যবসা করছে, তাদের কথা শোনা। তাদের একটি সফল ব্যবসা করতে এবং তাদের সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা উচিত। বাংলাদেশে আরও বেশি সংখ্যক কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার এটাই সর্বোত্তম উপায় হওয়া উচিত।

বাংলানিউজ: ঢাকায় থাকাকালীন বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা কী?

লি জাং-কিউন: আমি বাংলাদেশে এসে একজন রাষ্ট্রদূত হিসেবে কোরিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য কাজ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। গত তিন বছর ধরে বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশিদের সাথে পরিচিত হওয়া এবং শেখা আমার জন্য সত্যিই একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা ছিল।

আমি আমার ব্যক্তিগত জীবন এবং অফিসিয়াল কাজের জন্য পূর্ণ কৃতিত্বের অনুভূতি নিয়ে দেশ ত্যাগ করছি। বিশেষ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার আমার সরকারি আদেশে আমি খুশি এবং গর্বিত যে বেশ কিছু রেকর্ড-ব্রেকিং উন্নয়ন হয়েছে।

আমি আগেই বলেছি, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ২০২০ সালে ১.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২২ সালে ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। কোরিয়ায় যাওয়া বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকের সংখ্যা মহামারির আগে ১৫০০ থেকে গত বছর ছয় হাজারে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর তা আরও বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হবে। আরেকটি বড় অগ্রগতি হলো বাংলাদেশে কোরিয়ার সরকারি উন্নয়ন সহায়তা। বিশেষ করে কোরিয়া সম্প্রতি ৫ বছরের জন্য বাংলাদেশকে সবচেয়ে ভালো শর্তে তার সফট লোন ৭০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে ৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে এবং একটি অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ রয়েছে। আমি আশা করি বাংলাদেশ বিশ্বের একটি বড় সাফল্যের ক্ষেত্রে পরিণত হবে, এমন একটি দেশ যা অন্যান্য দেশকে আশা ও অনুপ্রেরণা দিতে পারে।

বাংলানিউজ: আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ।
লি জ্যাং-কিউন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।