ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ধর্ষণের পর কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ছাবেন আলী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
ধর্ষণের পর কিশোরীকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ছাবেন আলী

সিরাজগঞ্জ: ১৩ বছরের কিশোরী সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও বিষয়টি প্রকাশ করতে চাওয়ায় তাৎক্ষণিক তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন অভিযুক্ত ছাবেন আলী (৩২)।  

গ্রেপ্তারের পর পুলিশের কাছে লোমহর্ষক এ ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন তিনি।

 

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  
তিনি বলেন, ছাবেন আলী কিশোরী সুমাইয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। এর আগে এ ঘটনায় বুধবার (১০ মে) রাতে সুমাইয়ার বাবা বেলাল হোসেন বাদী হয়ে ছাবেন আলীকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

অভিযুক্ত ছাবেন আলী তাড়াশ পৌর এলাকার কোহিত মহল্লার পশ্চিম পাড়ার ওসমান আলীর ছেলে। পেশায় এক্সক্যাভেটর চালক ছাবেন আলী বিবাহিত। তার নামে জুয়া ও মাদক সেবনের অভিযোগ রয়েছে।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিশোরী সুমাইয়া ও তার ছোট ভাইকে রেখে কয়েক বছর আগে তাদের মাকে তালাক দেন বাবা বেলাল হোসেন। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় বসবাস করছিলেন। সুমাইয়া তার ভাইকে নিয়ে কোহিত মহল্লায় দাদির বাড়িতে বসবাস করছিল। অন্যের বাড়িতে কাজ করে সুমাইয়া ও তার ভাইকে লালন-পালন করছিলেন দাদি বেগম খাতুন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও তাড়াশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নুরে আলম জানান, কিশোরী সুমাইয়াকে দীর্ঘদিন ধরেই ধর্ষণের সুযোগ খুঁজছিল ছাবেন আলী। মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে বৃদ্ধ দাদি তাকে বাড়িতে একা রেখে মাঠে ছাগল চড়াতে যান। এ সুযোগে ছাবেন আলী সুমাইয়ার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। সুমাইয়া এতে বাঁধা দিতে গেলে তাকে মারপিট করা হয়। শরীরের বিভিন্ন অংশে একাধিক আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পরে ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করতে চাওয়ায়, তাৎক্ষণিক তাকে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান ছাবেন আলী।  

পরে মঙ্গলবার (১০ মে) রাত ৮টার দিকে কোহিত মহল্লার দিঘিপাড়ার বাড়ি থেকে কিশোরী সুমাইয়ার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার সুরতহাল প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পায় পুলিশ। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই রাতেই সন্দেহজনক ছাবেন আলীকে আটক করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।