দিনাজপুর: দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় অবস্থিত দেশের একমাত্র লোহার খনির চতুর্থ কূপ খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে প্রথমাবেরর মতো উপজেলার মুর্শিদপুর এলাকায় কূপ খনন কার্যক্রম শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে হাকিমপুর উপজেলার আলীহাট ইউনিয়নের মনসাপুর গ্রামে এ কূপ খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক।
জানা গেছে, এ লোহার খনিতে ৬২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন লোহা মজুদ রয়েছে। যা সারাদেশের ৩০ বছরের লোহার ঘাটতি মেটাবে।
দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কোল্ড মাইনিং কোম্পানির তত্ত্বাবধানে এ কূপের প্রিলিমিনারি স্ট্যাডি ফর ডেভলপমেন্ট শীর্ষক জরিপ চলছে।
কূপ খনন উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অনেকের মধ্যে বক্তব্য দেন বড়পুকুরিয়া কোল্ড মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহিন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া ও আলীহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান মণ্ডল।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবলী সাদিক বলেন, বিশ্বের কয়েকটি দেশে লোহার খনি আবিষ্কার হলেও বাংলাদেশে এটিই প্রথম। হিলি মনসাপুর এলাকার এ খনির আয়তন প্রায় পাঁচ বর্গ কিলোমিটার। এ লোহার খনিতে ৬২৫ মিলিয়ন মেট্রিকটন লোহা মজুদ রয়েছে। যা সারাদেশের ৩০ বছরের লোহার ঘাটতি মেটাবে। খনি থেকে লোহা তোলা হলে এ উপজেলাসহ দেশের চিত্র পাল্টে যাবে, উন্নত হবে জীবনমান।
বড় পুকুরিয়া কোল্ড মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, পাঁচ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ছয়টি কূপ খনন করে উত্তোলনের সম্ভাবতা যাচাই করা হবে।
২০১৩ সালে উপজেলার মুর্শিদপুর এলাকায় প্রথম কূপ খনন করে বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০১৯ সালের এপ্রিলে ইসবপুর গ্রামে দ্বিতীয় পর্যায়ে কূপ খনন করে সেখানে ভূগর্ভের এক হাজার ৭৫০ ফুট নিচে ৪০০ ফুট পুরুত্বের লোহার স্তর পাওয়া যায়। এরপর উপজেলার ভাটারা গ্রামে তৃতীয় কূপ খনন করা হয়। বিশ্বের কয়েকটি দেশে লোহার খনি আবিষ্কার হলেও বাংলাদেশে এটিই প্রথম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এসআই