রাজশাহী: অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে রিকশা চালানো সেই সেন্টুর পাশে দাঁড়ালেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গিয়ে সেন্টু'র সঙ্গে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন তিনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, সেন্টুকে আর রিকশা চালাতে হবে না। তার জন্য অন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। তাকে রিকশা চালিয়ে আর সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতে হবে না। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অটোরিকশার পরিবর্তে তার বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
এসময় মাইনুরজ্জামান সেন্টু জেলা প্রশাসককে জানান, শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখতে চিকিৎসক তাকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ( Oxygen Concentrator) মেশিনটি কিনতে বলেছেন। এই মেশিন ছাড়া তার পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব না। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই, এই মেশিনটির প্রয়োজন হবে।
এ কথা শুনে ডিসি শামীম আহমেদ বলেন, রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেন্টুকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর মেশিন দেওয়া হবে। সেন্টুর চিকিৎসার সমস্ত ব্যয় জেলা প্রশাসন বহন করবে।
হাসপাতাল থেকে রিলিজ নেওয়ার পরে সেন্টুর অন্যান্য সমস্যাগুলোও শুনে সমাধান করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (গোপনীয় শাখা) মো. শামসুল ইসলাম।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১২ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন মাইনুরজ্জামান সেন্টু। দীর্ঘ সাত বছর ধরে ফুসফুসের সমস্যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন তিনি।
গেল দেড় মাসে তিনবার রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সবশেষ গত পাঁচ মাস থেকে তার প্রতিদিন তিনটি অক্সিজেনসহ ওষুধ লাগে। তিনি রিকশা চালিয়ে নিজের অক্সিজেন ও সংসার চালানোর টাকা উপার্জন করতেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৩
এসএস/এসএএইচ