ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষিতে আমরা সমৃদ্ধি অর্জন করেছি: পলক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কৃষিতে আমরা সমৃদ্ধি অর্জন করেছি: পলক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

নাটোর: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করেছেন। তার দর্শন অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কৃষিতে আজ আমরা সমৃদ্ধি অর্জন করেছি।

এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে। স্মার্ট হচ্ছে দেশের প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি ব্যবস্থা।

শুক্রবার (১৯ মে) নাটোরের সিংড়া উপজেলা কৃষি অডিটোরিয়ামে উপজেলার কৃষকদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে কৃষি যন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

এ সময় কৃষকদের ৫০ শতাংশ ভর্তুকিতে ৩টি রিপার বাইন্ডার, ৩টি কম্বাইন হারভেস্টার, ৪০টি পাওয়ার থ্রেসার, ১০টি মেইজ শেলার, পাঁচটি সিডার, ১০টি পাওয়ার স্প্রেয়ার ও ১টি ক্যারেট ওয়াসার দেওয়া হয়।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আল ইমরানের সভাপতিত্বে বিতরন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষি ব্যবস্থা ও কৃষকের উন্নয়ন চিন্তা করে সার, বীজ আর সেচ ব্যবস্থাকে সহজলভ্য করে দিয়েছে। দেশের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা বিভিন্ন শস্য উৎপাদনে নিয়মিত প্রণোদনা পাচ্ছেন। কৃষিতে শ্রম সংকট নিরসনে পঞ্চাশ শতাংশ ভর্তুকি মূল্যে হারভেস্টর,পাওয়ার থ্রেসারসহ প্রয়োজনীয় কৃষি যন্ত্র প্রদান করা হচ্ছে।

পলক বলেন, দেশে এখন আর কৃষকদের সার ও ডিজেলের দাবিতে আন্দোলনে নামতে হয় না। জীবন দিতে হয় না। অথচ ১৯৯১-১৯৯৬ সময়ে খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে সারের জন্যে ১৮ জন কৃষককে জীবন দিতে হয়েছিল। ২০০১-২০০৬ সময়ে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যুতের দাবিতে ১৪ জনকে জীবন দিতে হয়েছিল। আর এখন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কৃষকদের কোনো ভোগান্তি নেই বরং কৃষিতে সমৃদ্ধি লাভ করেছেন কৃষকরা।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। বিদ্যুতের আলোয় গ্রামগুলো জেগে উঠেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সড়ক, ইন্টারনেটসহ সব নাগরিক সুবিধা এখন গ্রামে পৌঁছে গেছে। ২০১০ সাল থেকে দেশে আট হাজার ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে হাতের মুঠোয় ২০১টি নাগরিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এসব সেন্টার থেকে ঘরে বসেই জমির পর্চা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, এজেন্ট ব্যাংকিং, ই-কমার্স ও পাসপোর্টের আবেদন করতে পারছেন তারা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খন্দকার ফরিদ, সদ্য বিদায়ী কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সেলিম রেজা, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. মাহামুদুল হাসান ও পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তরিকুল ইসলাম তপন।  

পরে প্রতিমন্ত্রী উপজেলা অডিটোরিয়ামে সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজানসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সিংড়া উপজেলা কৃষি অফিসার খন্দকার ফরিদ হাসান বাংলানিউজকে জানান, সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প’র আওতায় এক কোটি তিন লাখ টাকা ভর্তুকি মূল্যে তিনটি কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার মেশিন, ৪০টি পাওয়ার থ্রেসার, ১০টি করে মেইজ শেলার ও পাওয়ার স্প্রেয়ার ও একটি ক্যারেট ওয়াসার বিতরণ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।