ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এবার নাটোরে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এবার নাটোরে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হবে

নাটোর: নাটোরে কেমিক্যালমুক্ত নিরাপদ ফল নিশ্চিত করতে সময়সূচি অনুসরণ করে গাছ থেকে প্রসিদ্ধ আম আহরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  

এবার প্রায় ৪৮২ কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূলের প্রায় ৮০ হাজার ৪৫৮ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার আমের ফলন বেশি হওয়ার আশা করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। সে অনুযায়ী এবার জেলায় প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হবে।

শনিবার (২০ মে) জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার কোলাকান্তনগর আম বাগানে আহরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা সকালে গোপালভোগ আম আহরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শ্রাবণী রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, গাছ থেকে আম সংগ্রহ, বিপণন ও পরিবহনের সব রকম প্রতিবন্ধকতা নিরসন করে ক্রেতা পর্যায়ে নিরাপদ ফল নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে আম উৎপাদক ও আম ব্যবসায়ী এবং পরিবহন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ অব্যাহত রাখা হবে। জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বাগানে কেমিক্যালমুক্ত ফল প্রাপ্তিতে প্রশাসনিক নজরদারীও অব্যাহত থাকবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় মধুময় হবে মধুমাস।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ, উপজেলা কৃষি অফিসার হারুনর রশীদ, আহম্মদপুর আম আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রউফ, নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন, গুরুদাসপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দীল মোহাম্মদ প্রমুখ।

নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বাংলানিউজকে জানান, চলতি বছর জেলায় ৫ হাজার ৭৪৭ হেক্টর আম বাগান থেকে ৮০ হাজার ৪৫৮ মেট্রিক টন আম আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি হেক্টরে গড় ফলন ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ মেট্রিক টন। গড়ে প্রতি কেজি আম ৬০ টাকা দরে বিক্রি করলে ১ মেট্রিক টন আম প্রায় ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। সে হিসাব অনুযায়ী মোট উৎপাদিত আমের মূল্য হবে ৪৮২ কোটি ৭৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং সঠিক সময়ে আম আহরণ করা গেলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।

তিনি বলেন, জেলায় উৎপাদিত আম বিপণনের জন্য বেশ কিছু আড়ত আছে। সেসব আড়তে নিজ জেলা ছাড়া অন্য জেলা থেকেও আম আমদানি হবে এবং বাজারজাত করা হবে। সে অনুযায়ী এবার জেলায় প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার আম কেনাবেচা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জেলার আম সংগ্রহ সময়সূচী অনুসারে আজ ২০ মে থেকে গোপালভোগ, ২৫মে থেকে রাণী পছন্দ ও লক্ষণভোগ, ৩০ মে থেকে ক্ষিরসাপাত, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া, ২০ জুন থেকে মোহনভোগ ও আম্রপালি, ২৫ জুন থেকে ফজলি ও হাড়িভাঙ্গা, ৫ জুলাই থেকে মল্লিকা, ১০ জুলাই থেকে বারি-৪, ২০ জুলাই থেকে আশ্বিনা এবং ২০ আগস্ট থেকে গৌরমতি আম গাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।