মানিকগঞ্জ: বরিশালে একটি শিশুকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা হয় সোহাগ হাওলাদার (৩২) নামে এক ব্যক্তির। সাজা থেকে বাঁচতে ১২ বছর লুকিয়ে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪ এর একটি ইউনিট।
শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে সিপিসি-৩ র্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পারিবারিক সম্পর্কের খাতিরে ভিকটিমের বাড়িতে সোহাগের যাতায়াত ছিল। মেয়ে শিশুটির বাবা-মা দুজনই বাইরে কাজ করতেন। ২০১১ সালের একদিন মেয়েটির বাবা-মা বাড়িতে ছিলেন না। এ সুযোগে খাবার কিনে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন সোহাগ। পরে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের ভেতর ফেলে রেখে পালিয়ে যান তিনি। শিশুটির চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন গিয়ে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তার বাবা-মাকে খবর দেন। এ অবস্থায় পরে শিশুটিকে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই একই দিন ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বরিশাল মহানগর বিমানবন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা (মামলা নং- ১৪০/২০১১) দায়ের করেন। এর মধ্যে সোহাগ পালিয়ে ঢাকায় চলে যান। এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পরিচয় গোপন করে থাকতে শুরু করেন। তদন্ত শেষে সোহাগের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে সোহাগ হাওলাদারকে ২০২১ সালের মে মাসে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
র্যাব জানায়, আসামি গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকায় কখনো রিকশাচালক, কখনো দিনমজুর, কুলি হিসেবে কাজ করতেন। তবে বেশি দিন একই স্থানে থাকতেন না তিনি।
সবশেষে রাজধানীর মিরপুরে দারুস সালাম থানা এলাকায় কাঠমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন তিনি। পরে র্যাব তাকে ধরে ফেলে।
আসামিকে বরিশালের বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, মে ২৬, ২০২৩
এসআই