ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সন্তানের চিকিৎসার ফাঁদে ফেলে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
সন্তানের চিকিৎসার ফাঁদে ফেলে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

সিলেট: সিলেটের সীমান্তবর্তী কানাইঘাটে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক নারী। ৯ মাসের শিশু সন্তানের চিকিৎসার জন্য কবিরাজের সন্ধান দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ওই নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।

গত রোববার (২৮ মে) দিনগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার কালোমুড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে সোমবার (২৯ মে) অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারীপাড়া গ্রামের ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের জুবের আহমদ (২৪)।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম দস্তগীর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ভিকটিমকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, গ্রেপ্তার হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ ধর্ষণে সরাসরি জড়িত। অন্য আসামিরা ধর্ষণে সহায়তা ও ভিকটিমকে ফাঁদে ফেলে অপহরণে জড়ায়।  

গ্রেপ্তার আসামিদের ৫ জনকে আজ মঙ্গলবার (৩০ মে) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি গোলাম দস্তগীর।  

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিমের বাড়ি কানাইঘাট উপজেলায়। ২০ দিন আগে আসামি দুদু মিয়ার সঙ্গে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিকটিমের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে দুদু মিয়ার সঙ্গে তার প্রায়ই ফোনে কথাবার্তা হতো। ভিকটিমের ৯ মাসের শিশু কন্যা অসুস্থ হলে দুদু মিয়া তাকে পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ফুটিজুরি গ্রামের এক কবিরাজের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। পরবর্তীতে শিশু কন্যার চিকিৎসার নাম করে ২৮ মে বিকেল ৩টার দিকে বিয়ানীবাজারে গিয়ে দুদু মিয়া ওই নারীকে তার সন্তানসহ বাড়ি থেকে নিয়ে যায়।

কিন্তু কবিরাজের কাছে না নিয়ে দুদু মিয়া তাকে কৌশলে ফুসলিয়ে কানাইঘাটের বীরদল বাজার এলাকায় নিয়ে ঘুরতে থাকেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বীরদল বাজারে থাকা লোকজনের সন্দেহ হয়। এসময় দুদু মিয়া ফোন করে তার সহযোগী আব্দুল করিমকে বীরদল বাজারে ডেকে নেন। তারা ওই নারীকে কৌশলে মোটরসাইকেলযোগে বীরদল খালোমুরা বাজারে নিয়ে যান। এতে স্থানীয় কিছু লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটক করেন।

ওইদিন (২৮ মে) দিনগত রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন নিরাপদে কানাইঘাট বাজারে নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিকটিমকে জুবের আহমদের রিকশায় তুলে দেয়। এ সময় দুদু মিয়া ও আব্দুল করিম ভিকটিমের পিছু নেন। এক পর্যায়ে পুরানফৌদ কবরস্থানের সামনে ভিকটিমের রিকশা আসা মাত্রই হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ রিকশার গতিরোধ করেন। তারা ওই নারীকে পুরানফৌদ গ্রামের হাবিব আলীর নির্জন পুকুরঘাটে নিয়ে যান। সেখানে হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ মিলে ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। এতে ভিকটিমের প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এসময় অভিযুক্তরা পালিয়ে গেলে ভিকটিমের আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৩
এনইউ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।