ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পদ্মা-মেঘনায় ৫০ বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ, আটক শতাধিক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
পদ্মা-মেঘনায় ৫০ বালুবাহী বাল্কহেড জব্দ, আটক শতাধিক ছবি: বাংলানিউজ

চাঁদপুর: জেলার মতলব উত্তর উপজেলার এখলাসপুর এলাকায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালুবাহী ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব নৌযানের সঙ্গে থাকা শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর অঞ্চলের নৌ-পুলিশের পাঁচটি টিম পৃথক অভিযান পরিচালনা করে এসব বাল্কহেড জব্দ করে। নৌ-পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেনের নেতৃত্বে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ফরিদ হোসেন নামে এমভি ওয়াটার হেন-৫ এর সুকানি জানান, তারা মাওয়া থেকে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভর্তি করে ঢাকায় নিয়ে যান। তাদের কাজ হচ্ছে বহন করা। প্রতি রাতে বালুবাহী কমপক্ষে ২০০ বাল্কহেড ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। তার বাল্কহেডের কাগজপত্র আছে। কিন্তু বালু বহনের জন্য কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই।

বাল্কডেহ থেকে আটক হওয়া একাধিক শ্রমিক জানান, আমরা কাজ করি শ্রমিক হিসেব। বালু বহনের বৈধতার বিষয়ে মালিকদের সঙ্গে চুক্তি হয়। ড্রেজারগুলো বন্ধ করে দিলে আমাদের বহনের কাজও বন্ধ হয়ে যাবে।

দুপুরে এখলাছপুর এলাকায় জব্দ বাল্কডেহগুলোতে থাকা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন এবং কাগজপত্র দেখেন নৌ-পুলিশের সুপার (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। এ সময় চাঁদপুর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান, মোহনপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, নৌ-পথ নিরাপদ রাখার জন্যই আমরা কাজ করি। আমাদের টহল বাহিনীর মাধ্যমে জানতে পারলাম বেশ কিছুদিন ধরে কিছু দুর্বৃত্ত পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু কেটে যাচ্ছে। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও ব্যবসা করে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয় আসছিলাম। চলতি বছরের পাঁচ মাসে ১৫৫টি বাল্কহেড জব্দ করে মামলা দিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই বড় ধরনের অভিযান।

তিনি আরও বলেন, আমাদের অভিযান ছিল ত্রিমাত্রিক। অর্থাৎ রাতের আধারে আমরা বালু কাটতে দেই না। তারপরেও চুরি করে যারা কাটে, তারা যেন পরিবহন করে নিয়ে যেতে না পারে সে জন্য আমাদের চেকপোস্ট ছিল পদ্মা এবং মেঘনার মোহনায়। আমরা নিবন্ধন ছাড়া বাল্কহেড জব্দগুলো করছি। যে ৫০টি বাল্কহেড জব্দ করেছি এগুলোর প্রত্যেকটি পদ্মা নদীর কোনো কোনো স্থান থেকে উত্তোলন করা বালু বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। পদ্মা নদীর মাওয়া, লৌহজং, কাঠালবাড়ী এলাকায় যারা ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে তাদের কোনো বৈধতা কিংবা কাগজপত্র নেই। জব্দ করা বাল্কহেড ও আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২৩
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।