ঢাকা: বাংলাদেশে শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৪০ শতাংশ রোহিঙ্গা শরণার্থী খোসপাঁচড়ায় (স্ক্যাবিস) আক্রান্ত। রোগের প্রাদুর্ভাব জানতে মে মাসে স্বাস্থ্যখাতের পরিচালিত একটি জরিপ থেকে এই তথ্য জানা যায়।
মঙ্গলবার (৬ জুন) ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স বাংলাদেশ এবং মেডিসিন স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্সের (এমএসএফ) বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, কিছু কিছু ক্যাম্পে আক্রান্তের হার অত্যন্ত বেশি, প্রায় ৭০ শতাংশ। জরিপে প্রাপ্ত তথ্য যেন আমাদের অভিজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি। গত বছরের মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত এমএসএফ দুই লাখের বেশি খোসপাঁচড়ায় (স্ক্যাবিস) আক্রান্ত ব্যক্তিকে সেবা দিয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, খোসপাঁচড়ায় আক্রান্ত অসংখ্য রোগীকে রোগের যন্ত্রণা, ভোগান্তি ও অসম্মান বয়ে বেড়াতে হবে এবং একে মহামারি হিসেবে ছড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে অকল্পনীয়। হত্যাকাণ্ড এবং নিপীড়নের মাধ্যমে এই মানুষগুলোকে তাঁদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তারা এখন থাকেন কাঁটাতারঘেরা শরণার্থী শিবিরে। তাদের কোনো বৈধ মর্যাদা নেই। নেই কাজ করে জীবিকা অর্জনের অধিকার। মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর করা ছাড়া তাদের কোনো পথ নেই। যতটুকু সহায়তা জোটে তা-ও বারবার কর্তন করে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই হিসাবগুলোই পরিণামকে স্পষ্ট করে তোলে। আমরা স্বাস্থ্যখাত, দাতাগোষ্ঠী এবং অন্যান্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আহ্বান জানাই, তারা যেন একটি উন্নত, সমন্বিত ও বহুমুখী প্রক্রিয়ায় সাড়া দেন, যা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে গণহারে ছড়িয়ে পড়া খোসপাঁচড়ার চিকিৎসা ও প্রতিরোধ সম্ভব করে তুলবে; পানীয়জল ও পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে, যা রোগের প্রাদুর্ভাবকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৩
আরকেআর/এমজেএফ