ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পাবনায় বিএনপির মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
পাবনায় বিএনপির মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

পাবনা: দেশব্যাপী ‘অসহনীয় বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি‘ এবং অনিয়মের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল করে পাবনা জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে পথসভা শেষে ফেরার পথে তাদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা  হাবিবুর রহমান হাবিবসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা শহরের বড় ব্রিজ সংলগ্ন পথসভা স্থল ঘোড়া স্ট্যান্ড ও পাশে অবস্থিত লতিফ টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালপুরস্থ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের পাওয়ার হাউজ বিদ্যুৎ অফিসে দিকে রওনা হন। কিন্তু পথে বড় ব্রিজের মাথায় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে নেতাকর্মীরা শান্ত হন। এরপর বড় ব্রিজের পাশে ঘোড়া স্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত পথ সমাবেশ করেন নেতাকর্মীরা।

এদিকে একই সময়ে পাবনা স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা ট্র্যাফিক মোড়ে অবস্থান নেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষে ফেরার পথে লতিফ টাওয়ারের সামনে এলে তাদের ওপর যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টুসহ অন্তত ১০-১২ জন আহত হন। এছাড়া জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইয়ামিন খান ছুড়িকাঘাতে গুরুতর আহত হলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির নেতাকর্মীরা পাশের লতিফ টাওয়ার মার্কেটে গিয়ে আত্মরক্ষার জন্য গেলে সেখানেও যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালান। এ সময় শহরজুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু বলেন, আমরা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছিলাম। এ সময় আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতেই তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের জেলা আহ্বায়কসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা দোকানপাটে লুকিয়ে পড়লেও তাদের বের করে হামলা চালানো হয়।

তবে হামলা করার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল বলেন, আমাদেরও শান্তি সমাবেশ চলছিল। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা সেখানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে যাওয়ায় পথে নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে মাত্র।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল)  ডি এম হাসিবুল বেনজীর বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের সমাবেশের সময় পাশ দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা যাওয়ার সময় একটা হট্টগোল হয়েছে। কোনো হামলা হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। তদন্ত করে বিষয়টি জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।