নড়াইল: চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এছাড়া ভাঙ্গা-নড়াইল-যশোর পর্যন্ত (২য় অংশের) কাজের অগ্রগতি প্রায় ৭৩ শতাংশ।
শনিবার (১০ মে) দুপুর ২টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কালনা পয়েন্টে মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত রেল সেতু পরিদর্শন শেষে লোহাগড়া মধুমতি আর্মি ক্যাম্পে গণমাধ্যমকর্মীদের একথা বলেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
এসময় ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা, রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও নড়াইলের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত রেল যোগাযোগ স্থাপন হলে অনেক সময় বাঁচবে, রাস্তাও কমে আসবে। ফলে এ অঞ্চলের জনগণের যোগাযোগ ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসবে।
একটি বৈরী সময়ে আমরা এ প্রকল্পের কাজ করছি। কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে একটি বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। অবিভক্ত ভারতে আমরা যেভাবে রেলওয়ে বিভাগকে পেয়েছি, পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু রেলকে বিস্তৃত করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর রেলওয়ে শুধু পেছনের দিকে গেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের গুরুত্ব বুঝতে পেরে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় করেছেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ৮৭ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের কাজ প্রায় ৭৩ শতাংশ শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পের মেয়াদ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। আশা করি এর মধ্যেই কাজ শেষ হবে। কোনো ধরনের রেল ক্রসিং ছাড়াই ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত রেল চলবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রেল প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল এ কে এম রেজাউল মজিদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহম্মেদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সামসুল আলম, প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীসহ সেনাবাহিনী ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
আরএ