নীলফামারী: ওজন নিয়ন্ত্রণে স্বচ্ছতা আনতে রেলওয়ের সৈয়দপুর স্টোর ডিপোতে স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল ব্রিজ স্কেল মেশিন। পণ্যের ওজন নিয়ে যাতে কোনো দুর্নীতি না হয় এজন্য সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের (ডিসিওএস) কার্যালয়ের সামনে স্থাপন করা হয়েছে ওই মেশিন।
ফলে ওই গুদামে রেলওয়ের যেকোনো রকম সরঞ্জাম আনা নেওয়া ও পরিত্যক্ত লোহা (স্ক্র্যাপ) বিক্রিতে ওজন ঘাপলা করে অনিয়মের সুযোগ থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) নীলফামারী সৈয়দপুর রেলওয়ে জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গেলে দেখা যায়, গেটের ভেতরের অংশে স্থাপন করা হয়েছে ডিজিটাল ব্রিজ স্কেলটি। যা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে কম্পিউটারের মাধ্যমে। ওই স্কেলের ওপর দিয়ে চলে গেল পণ্যবাহী একটি ট্রাক। স্টোর ডিপোর ভেতরে পণ্য খালাস করে ফিরে আসার পথে পুনরায় খালি ট্রাকটি ওজন করা হল। এর মাধ্যমে ট্রাকটির মাধ্যমে কি পরিমাণ সরঞ্জাম বয়ে আনা হয়েছে তা কম্পিউটার মনিটরে তাৎক্ষণিকভাবে প্রদর্শিত হয়। পণ্যের ওজন সনদটি (ওয়েট রিপোর্ট) বেরিয়ে আসে প্রিন্টারের মাধ্যমে।
সৈয়দপুর স্টোর ডিপোর সিনিয়র সহকারী জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক এসএম আল মুহিত জানান, এর আগে ডিপোতে আসা সরঞ্জামের ওজন সনাতন পদ্ধতিতে পরিমাপ করা হত। এ নিয়ে অনেক রকম সন্দেহ ছিল। পণ্যের সঠিক মাপ নিয়েও প্রতিনিয়ত সন্দিহান থাকতে হত। ফলে আমরা ওই ব্যবস্থাকে অধিকতর স্বচ্ছ করতে ওপরের নির্দেশে ডিজিটাল মেশিনটি স্থাপন করেছি। এখন থেকে ওজন নিয়ে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকবে না।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (সিওএস) রাশেদ ইবনে আকবর জানান, রেলওয়ের প্রয়োজনে বিভিন্ন সরঞ্জাম আমাদের আমদানি করতে হয়। যা সরবরাহ করে থাকে রেলওয়ের তালিকাভুক্ত বৈধ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো। অনুরূপ রেলওয়ের স্টোর ডিপো থেকে আমরা পরিত্যক্ত লোহাসহ বিভিন্ন স্ক্র্যাপ সামগ্রী দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকি। এসবের ওজন মান নিয়ে নানা মহলে সন্দেহ কাজ করতো। ফলে আমরা ওজন মান নিয়ন্ত্রণে আধুনিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছি। সৈয়দপুর স্টোর ডিপোতে স্থাপন করা হয়েছে ব্রিজ স্কেল মেশিনটি। যা কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত। পণ্যের সঠিক মাপ নিয়ে আর কোনো সন্দেহ থাকবে না। ওই স্কেলটি গত ৫ জুন থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। ব্রিজটি স্থাপনে ব্যয় হয়েছে ১৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২৩
আরএ