ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চার্জার ফ্যানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হওয়ার ঘটনায় স্বামী আব্দুস সালামের পর মারা গেলেন স্ত্রী বুলবুলি বেগমও (৪০)।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান বুলবুলি।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।
তিনি জানান, বুলবুলি বেগমের শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। এর আগে সোমবার (১২ জুন) সন্ধ্যায় ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান তার স্বামী আব্দুস সালাম মন্ডল।
এর আগে ৯ জুন ভোরে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় ওই আগুনের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের উদ্ধার করে ওইদিনই বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ অন্যরা হলেন- দম্পতির ছেলে টুটুল মন্ডল (২৫), মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২৭) ও নাতনি মেহেজাবিন (৭)।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সোহাগ জানান, দগ্ধদের বাসা ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। বাসাটিতে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে (৯ জুন) হঠাৎ আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে তারা ছুটে যান। তখন আগুন নিভিয়ে তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
দগ্ধ টুটুলের চাচাতো ভাই মো. আল আমিন মন্ডল জানান, বাসার চার্জার ফ্যানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে ঘরে আগুন ধরে যায় বলে জানতে পারেন তিনি।
আল আমিন মন্ডল আরও জানান, বুলবুলি বেগম স্থানীয় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। তার স্বামী সালাম মন্ডল রিকশা চালক ছিলেন। তাদের মেয়ে সোনিয়ার শ্বশুরবাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। ঘটনার ৩-৪ দিন আগে সোনিয়া তার মেয়েকে নিয়ে বেড়াতে আসেন বাবা-মায়ের বাসায়।
বার্ন ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানান, দগ্ধদের মধ্যে সোনিয়ার ৪৫, টুটুলের ৬০ ও মেহেজাবিনের শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থাও গুরুতর।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় আগুন লেগে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২৩
এজেডএস/এনএস