সাভার (ঢাকা): মোবাইল ফোন ঠিক করা নিয়ে সাভারের রাজ্জাক প্লাজায় ব্যবসায়ীদের সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে দুই শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে৷
আহত দুই শিক্ষার্থী হলেন-পরিসংখ্যান বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশেদ, বাংলা বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পাশে রাজ্জাক প্লাজার তৃতীয় তলায় এ সংঘর্ষ ঘটে। এরপর থেকে মার্কেটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ব্যবসায়ীরা জানায়, দুই দিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১ ব্যাচ এক নারী শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন ঠিক করা হয় সিয়াম টেলিকম নামের এক দোকানে। ফোনটির আঠা ছুটে গেলে আজ আবার শিক্ষার্থীরা আসে সেই দোকানে। সেখানে দোকানদার ও শিক্ষার্থীর ভেতরে কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে মারামারি হয়। পরে সেই শিক্ষার্থী চলে গিয়ে আরও শিক্ষার্থীদের নিয়ে এলে মার্কেটের সব ব্যবসায়ী তখন নেমে গিয়ে তাদের হামলার প্রতিরোধ করে। এখন মার্কেট বন্ধ আছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ ও মার্কেটের নেতারা বিষয়টি নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোহেব বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের এক বান্ধবীর ফোনের প্রোটেকটর গ্লাস লাগাতে দেয় গত পরশু। তখন ফোনটি নিয়ে দীর্ঘ সময় পর একটি গোডাউনে গিয়ে ফোনটি প্রোটেকটর গ্লাস লাগিয়ে আনে মেকানিক। এরপর সেই শিক্ষার্থী ফোন নিয়ে হলে চলে এসে দেখে ফোনের পেছনে নতুন আঠা দেওয়া ও ফোনের ক্যামেরা ঘোলা। তো স্বাভাবিকভাবে ৯০ হাজার টাকার ফোনের ক্যামেরা ভালো থাকার কথা। তখন সেই শিক্ষার্থীর সন্দেহ হওয়ায় দোকানে গিয়ে বিষয়টি জানালে মেকানিক দোকানদার তাদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি করে। পরে বিষয়টি জেনে ক্যাম্পাসের বাকি শিক্ষার্থীরা মার্কেটটিতে গেলে মার্কেটের সব পথ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়ে এনাম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি আছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনে সরাসরি মার্কেটে এসেছি। এখানকার পরিস্থিতি দেখছি। ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করছি৷
রাজ্জাক প্লাজার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিমু বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনার পর পর পুলিশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখানে এসেছে। আমরা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তাদের নিয়ে বসেছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে আসা যাবে।
সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র শাহ বলেন, ঘটনাটি ঘটার খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ সবাই এখানে এসেছে। আলোচনা করে সমাধানে আনার চেষ্টা চলছে৷
বাংলাদেশ সময়: ০২৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৩ , ২০২৩
এসএফ/এসএএইচ