ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বিকেলে রাজধানীর পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
বিকেলে রাজধানীর পশুর হাটে ক্রেতাদের ভিড়

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির প্রথম দিনে রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে সকালের দিকে বৃষ্টিতে ক্রেতা কম থাকলেও দুপুরের দিকে ক্রেতা বেড়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা নিয়ে গরুর হাটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।

আর বিকেলে জমজমাট হয়েছে হাটগুলো।  

বেপারীরা বলছেন, মঙ্গলবার ছুটির প্রথম দিনে বৃষ্টি হলেও ক্রেতাদের ভিড় বেশি রয়েছে। তারা আশা করছেন আজ থেকে বেশি পরিমাণ পশু বিক্রি করতে পারবেন।

অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, গতবারের তুলনায় এবারের পশুর দাম একটু বেশি। আবার আজকের পর শুধু আগামীকাল সময় রয়েছে। আগামীকাল গরুর দাম ওঠা-নামা করে কি না সেটার কোনো ঠিক নেই। তাই অনেকে আজ কিনে ফেলছেন।   

সরেজমিনে রাজধানীর আফতাব নগর হাটে মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পশুর দাম কিছুটা তুলনামূলক কম থাকলেও দুপুরের পরে ক্রেতার চাপ বাড়ায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে মনে করছেন ক্রেতারা।  

আফতাব নগর হাটে গত দুদিন ক্রেতা কম থাকলেও আজ ক্রেতার চাপ বেড়েছে। সকালের চেয়ে বিকেলে ক্রেতার চাপ অনেক বেশি।  

এক লাখ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে দুটি দেশি গরু কিনেছেন রহমান মিয়া। তিনি বলেন, দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। মানুষের যে চাপ জানি না আগামীকাল বাজারের কী অবস্থা হয়। তাই আজকে কিনে নিয়েছি।  

গরু বেপারী খায়রুল বলেন, আজ ছুটির প্রথম দিন। মনে করেছিলাম আজ থেকে বিক্রি বাড়বে। কিন্তু বৃষ্টিতে নাকাল অবস্থা। একদিকে গরুর খাবারের খরচ। অন্যদিকে নিজেদের খাবার খরচ। এ অবস্থায় অল্প লাভ নিয়ে গরু বিক্রি করছি। ৭৫ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার দামের গরুর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি।    

অপরদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে শনির আখড়ার (দনিয়া) পশুর হাটেও ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে। বেশিরভাগ ক্রেতা ছোট ও মাঝারি সাইজের গুরু কিনছেন।  

যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা বিল্লাল হোসেন। তিনি আজ গরু কিনেছেন ৮০ হাজার টাকা দিয়ে। এ ক্রেতা বলেন, দাম কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। তবে আজকে কিনে ফেলেছি। কারণ কাল বাদে পরশু ঈদ। কালকের বাজার কী হয়, তাতো জানি না। এ কারণে আজ কেনা।

ধলপুরের বাসিন্দা আকবর হোসেন বলেন, ৯৬ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনেছি। দাম খানিকটা বেশি। তবে গরু দেখতে খুব সুন্দর। তাই কিনে নিয়েছি।  

বেচাকেনা বাড়লেও বেপারীদের মুখ ভার। জামালপুর থেকে আসা বেপারী করিম মিয়া বলেন, তিন দিন ধরে গরু নিয়ে হাটে আছি। গরুর ভূষির দামও বেশি। গরুর খাবারের খরচ, নিজের খরচ। কিন্তু সেই হারে ক্রেতারা দাম বলছেন না। নিজের পালের গরু। নিজ এলাকায় বিক্রি করলে প্রতিটা দেড় লাখ টাকার মতো বেচতে পারতাম। এখানে এক লাখ ২৫ হাজারের বেশি দাম উঠছে না। তাই টেনশনে আছি। আরেকটু দাম উঠলে ছেড়ে (বিক্রি) দেব।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২৩
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।