ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

শেষ মুহূর্তে পশুর হাটে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
শেষ মুহূর্তে পশুর হাটে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি

বরগুনা: জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। পবিত্র ঈদ-উল আজহাকে সামনে রেখে জেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত কোরবানির পশু উঠলে বিক্রি তুলনামূলক কম ছিল।

বরগুনায় পশুর হাটগুলো ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাটে ক্রেতাদের দেশি ছোট ও মাঝারি গরুর দিকে নজর বেশি। মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে বড় গরুর তুলনায় দামও একটু বেশি।

বুধবার (২৮ জুন) বরগুনা শিশু পরিবার মাঠে, গৌরিচন্না বাজার, মীমর বাজার, বগি বাজার, আয়না বাজার, আমতলী বাজার, তালতলী, পাথরঘাটা, বেতাগী এবং বামনা বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমনটি দেখা যায়। এ সময় ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাঝারি ও ছোট সাইজের গরুর প্রতি আকর্ষণ বেশি ক্রেতাদের।  

বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৪৪টি। জেলা প্রাণিসম্পদ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় কোরবানি ঈদে পশুর চাহিদা ৩৪ হাজারের বেশি। প্রস্তুত রয়েছে ৩৫ হাজারের বেশি। চাহিদার চেয়ে ১ হাজার পশু বেশি রয়েছে।

হাটে বড় গরু কেনার ক্রেতা কম থাকলেও ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। তবে কোনো কোনো হাটে পশুর দাম সহনীয় পর্যায় থাকলেও অনেক হাটে দাম বেশি। এক্ষেত্রে বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর গুরুর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি। গত কয়েক দিন হাটে আসলেও ঘুরে চলে গেছি। আজ গরু কিনেই ফিরব।

হাটে আসা ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেড়েছে। আর শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের সমাগমে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে দর-কষাকষি ও বেচাকেনা। তবে মাঝারি আকারের গুরু চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা।

আমতলী চাওরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মাকসুদুর রহমান বলেন, মাঝারি সাইজের দেশি গরু পেলে কিনব। ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে। তিনি আরও বলেন,পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় দাম একটু বেশি পড়ছে। তাই এবার বেশিরভাগ মানুষই কোরবানি ভাগে দিবে বলে অনেকে জানায়।

জিমি অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক আবুল বাশার নয়ন মৃধা বলেন, গত তিন বছর ধরে আমি অ্যাগ্রো ফার্ম পরিচালনা করে আসছি ১৫ জন শ্রমিক দিয়ে। কোরবানি ঈদে আমার ফার্মে ২০০টি দেশি জাতের ছোট ও মাঝারি সাইজের সুস্থ ষাঁড় বিক্রি করেছি। তবে বড় সাইজের গরুগুলো এখনো বিক্রি হয়নি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আশা করি, এই ঈদে প্রাণীর সংকট পড়বে না। এতে খামারি ও ব্যবসায়ী উভয়েই লাভবান হবেন।  

তিনি আরও বলেন, রোগাক্রান্ত প্রাণী কিংবা কোরবানির অনুপযোগী প্রাণী কেনা-বেচা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা ভিত্তিক একটি করে মনিটারিং টিম গঠন করা হয়েছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রত্যেক উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।