লক্ষ্মীপুর: ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে মশলা জাতীয় পণ্যের। এছাড়া কাঁচামরিচ, শশা, টমেটোর পাশাপাশি আদা এবং জিরার দামও বেড়েছে অস্বাভাবিকহারে।
বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। আর ক্রেতারা বলছেন, ঈদের সুযোগ কাজে লাগিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বুধবার (২৮ জুন) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার জকসিন বাজারের হাট বার। এদিন বিকেলে কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। যা গেল তিনদিন আগেও ছিল ২০০ টাকা। আর এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজি দরে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে অস্বাভাবিকহারে বেড়েছে কাঁচামরিচের ঝাল।
বাজারে প্রতি কেজি শশা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা করে, যা তিনদিন আগেও ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। এক সপ্তাহ আগে যে টমেটোর দাম ছিল ১২০ টাকা, সেই টমেটোর কেজি এখন ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা।
জকসিন বাজারের সবজি বিক্রেতা আবদুর রহমান বলেন, ঈদে কাঁচামরিচ, শশা এবং টমেটোর চাহিদা বাড়ে। কিন্তু বাজারে সে তুলনায় আমদানি কম। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে কৃষকের মরিচ ক্ষেত ও শশা নষ্ট হয়ে গেছে। এতে কৃষক পর্যায়ে মরিচ এবং শশার উৎপাদন কমে গেছে। ফলে এসব পণ্যে দাম বেড়েছে।
ক্ষুদ্র মুদি দোকানী আবদুল্যা আল হাদী বলেন, এক সপ্তাহ আগেও প্রতি কেজি আদার দাম ছিল ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা। আজকে মাঝারি মানের আদা কিনতে হয়েছে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। ভালো মানের আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা।
লক্ষ্মীপুর শহরের মুদি ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান বলেন, দিন দিন মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজারের ওপরে। কিন্তু গত দুই মাস আগেও সাড়ে চারশ থেকে ৫০০ টাকায় কেজি দরে জিরা বিক্রি হয়েছে।
ক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদ বা বিভিন্ন উপলক্ষ আসলেই দাম বেড়ে যায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ হারে। এতে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৮ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৩
এফআর